নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে তিন পুলিশ সদস্যকে বন্দুক ঠেকিয়ে জিম্মি করে ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের আমিলার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ছিনিয়ে নেওয়া সন্ত্রাসীর নাম মো.শাকিল (২৪)। সে একই ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আমিলার বাড়ির মোহাম্মাদ আলীর ছেলে এবং স্থানীয় শাকিল বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা মামলা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও হত্যা চেষ্টা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করতে উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের আমিলার বাড়ি সামনে অভিযান চালায় বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মোতালেব ও কনস্টেবল মনিরসহ তিন পুলিশ সদস্য। অভিযানে সন্ত্রাসী শাকিলকে তার বাড়ির সামনের সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করতে ধাওয়া করে পুলিশ। একপর্যায়ে সে লাফ দিয়ে খালে পড়ে যায়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে খাল থেকে আটক করে। তাকে আটকের পর সে শার্ট গায়ে দেওয়ার জন্য তালবাহানা করে। পরবর্তীতে তার পরিবার ও বাহিনীর সদস্যরা তাকে শার্ট দিতে এসে পুলিশ সদস্যদের জিম্মি করে বন্দুক ঠেকিয়ে তার হাত থেকে হ্যান্ডকাপ খুলে দিতে বাধ্য করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই সময় এসআই মোতালেব স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ফোন করে চৌকিদার পাঠিয়ে সহযোগিতা চাইলে তিনি ঘটনাস্থলে চৌকিদার আনোয়ারসহ দুইজনকে পাঠান। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মুখে পুলিশ হ্যান্ডকাপ খুলে আসামি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ওই সময় স্থানীয় চৌকাদার সহ পুলিশের সোর্সকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশের সোর্সকে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে উদ্যত হলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গেলে সে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশকে জিম্মি করে কোনো ঘটনা ঘটেনি, পুলিশকে জিম্মি করলে হ্যান্ডকাপ নিয়ে যেত। শাকিলের বিরুদ্ধে হয়তো একাধিক মামলা থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।