নিজস্ব প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ৫ মাস আগে যোগদান করলেও স্টেশনে থাকেন না তিনি। এ ছাড়া ঠিকমতো কর্মস্থলে না আসা ও চিকিৎসা সেবা না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে রোগী ও তাদের স্বজনদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি স্টেশনে অবস্থান করেন না। কর্মস্থলে অফিসও করেন সপ্তাহে ৩-৪ দিন। শুক্রবারসহ বুধবার ও শনিবার অফিস না করে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি ব্যক্তিগত কাজে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৮ টায় আসার কথা থাকলেও তিনি আসেন ১১ টায়। আবার রোগী না দেখেই চলে যান ইচ্ছেমতো। ফলে, চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত ও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে, ভেঙে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কোটি কোটি টাকা ব্যয় নির্মিত হাসপাতালের আবাসিক ভবনে আরএমওসহ কোনো চিকিৎসক থাকেন না। অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোয়ার্টার । ডাক্তারেরা থাকেন রাজধানী ঢাকা কিংবা সাভারে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদটি যেন কাগজ- কলমেই সীমাবদ্ধ। এ পদধারীর কোনো দায়িত্ব ও কর্তব্য বাস্তবে চোখে পড়ে না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে আরএমও পদটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তার ২৪ ঘন্টা হাসপাতালে অবস্থান করে সার্বিক তত্ত্বাবধানসহ চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা। তিনিই যদি স্টেশনে না থাকেন এবং ঠিকমতো অফিস না করেন তাহলে এমন ডাক্তার আমাদের দরকার নাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপও কামনা করেন তারা। এ ছাড়া ওই পদে দায়িত্বশীল কাউকে নিয়োগ দিয়ে এলাকার রোগী সাধারণের স্বাস্থ্য সেবায় আত্মনিয়োগ করারও দাবী জানান তারা।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, আরএমও ডাক্তারের কাছে রোগী নিয়ে দুই দিন হাসপাতালে এসেছি স্যারকে পাইনি।
আরএমও ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “আমার প্রমোশনজনিত কিছু দাপ্তরিক কাজ থাকায় সবসময় হাসপাতালে থাকতে পারি না। তিনি আরো জানান যদি কোনদিন আমি হাসপাতালে উপস্থিত হতে না পারি সে ক্ষেত্রে তার পূর্বেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নেই এবং সেবা গ্রহীতাদের বিষয়টি অবহিত করার চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাফসান রেজা বলেন “আরএমও ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ হাসপাতালে আবাসিক থাকেন না, তিনি নিয়মিত ঢাকা থেকে অফিস করছেন। তবে শনিবার ও বুধবার তার অনুপস্থিতির বিষয়টি সঠিক নয়।”


