অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৩ দিনে দেশে ১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৬ দিন) চেয়ে ১৫ কোটি ৬০ ডলার বেশি। বিদায়ী বছরের একই সময়ে দেশে ১১৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৬ কোটি ৮৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২ কোটি ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর শাখার মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। এই ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১২ কোটি ডলার। পরের অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছে।
অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশি-বিদেশি ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে চারটি বিদেশি ব্যাংক। প্রবাসী আয় না আসা ব্যাংকগুলো হলো- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক।
এর আগে চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া সদ্য বিদায়ী আগস্টে দেশে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।


