পুঁজিবাজার ডেস্ক: দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কাগজ ও মুদ্রণ খাতে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের পর্ষদ একটি নতুন আধুনিক ‘এ ফোর’ কাগজ রূপান্তরকারী মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি হবে কোম্পানিটির কাগজ উৎপাদনের তৃতীয় ইউনিট। আগে থেকে দুটি ইউনিট বিদ্যমান রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নতুন মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে ‘এ ফোর’ কাগজ ও প্যাকেজিং খাতে কোম্পানির প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে পাশাপাশি দেশে ‘এ ফোর’ কাগজের চাহিদা আরো কার্যকরভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে। পর্ষদের বিশ্বাস, এ কৌশলগত বিনিয়োগ কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৭৯ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ৪.৭৪ টাকা, ২০২২ সালে আয় ছিল ৬.০৩ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৪.৮৯ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ১.৬১ টাকা।
কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২০২৪ সালে ১৬৪.৭৩ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ১৬৪.৯৪ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ২৪১.৩০ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ২৮৪.৩৩ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ৩০৭.৮৮ টাকা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সালে দিয়েছে ৪০ শতাংশ নগদ, ২০২৩ সালে ৪০ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৪০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ৫০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২০২০ সালে তালিকাভূক্ত হয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৮।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ি ৩১ জুলাই, ২০২৫ ইং তারিখে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৬৭.৫১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৬.৫১ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ২৫.৯৮ শতাংশ শেয়ার।
তথ্য অনুসারে, গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার দর উঠানামা হয়েছে ১২১.২ টাকা থেকে ২৪৯.৪ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনি দর ছিল ২৫০.৮ টাকা। ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।


