আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক বাহিনীর অবকাঠামোতে হামলার আট মামলায় জামিন পেয়েছেন কারারুদ্ধ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। ২০২৩ সালের মে মাসে দেশটির সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালান ইমরানের বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ লাহোর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিল মঞ্জুর করেছে, যা ২০২৩ সালের সহিংসতার সাথে সংশ্লিষ্ট ৮টি মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
পিটিআই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে এক এক্স বার্তায় এটিকে ‘ইমরান খানের জন্য বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে।
২০২৩ সালের ৯ মে দুর্নীতির অভিযোগে খানকে ইসলামাবাদে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করার পর দাঙ্গা শুরু হয়, যার ফলে তার সমর্থকরা সরকারি ভবন এবং সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দেয়।
পরবর্তীতে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের হাজার হাজার সদস্য এবং সমর্থককে আটক করা হয়।
ইমরান খান আগে থেকেই সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তার দাবি, তার বিরুদ্ধে এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আগস্টের শুরুতে, ৯ মে সহিংসতার সাথে জড়িত পিটিআই নেতাদের সাজা দেয় আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে জাতীয় পরিষদ এবং সিনেট উভয়ের বিরোধী দলের নেতারা ছিলেন, যাদের পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।
এদিকে ৮ মামলায় জামিন পেলেও ইমরান খানের মুক্তির সম্ভাবনা নেই। কারণ ইমরানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় উপহার আত্মসাত ও দুর্নীতির মামলাও রয়েছে। এসব মামলায় ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।


