কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: ১৩ বছর আগে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চার আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ডা. নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু ওরফে মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, মো. হোসেন মিজি ও সাঈদ ব্যাপারী ওরফে আবু সাঈদ। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-সাইদুল, প্যাদা মাসুম, আবুল কালাম ও ফয়সাল।
এছাড়া রফিকুল ইসলাম নামে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি তাকেও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় খুন হন ডা. নিতাই। হত্যাকাণ্ডের রাতে দোতলা ওই বাড়িতে সঙ্গে তার বৃদ্ধা মা ছিলেন। স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে।
ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপকের পাশাপাশি ডা. নিতাই ছিলেন সে সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের একজন নেতা। হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান। অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, চুরি করতে গিয়ে তারা ডা. নিতাই চন্দ্রকে হত্যা করেন। মিন্টু, রফিকুল, পিচ্চি কালাম, সাইদুল, প্যাদা মাসুদ, ফয়সাল এই মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওই বছরের ২২ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।


