ঝিনাইদাহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদাহ টানা বৃষ্টিতে জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি পানি নিকাশের অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক এতো জমিতে নতুন ধান ধান চাপান করতে পারছেন না ফলে পিঁপড়াহা হয়ে পড়েছেন ঝিনাইদাহের কৃষকরা। ঝিনাইদাহ সদর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডা ও শৈলকুপা উপজেলার সবজি ক্ষত, ধানের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা আমন ধান ডুবে গেছে।
ঝিনাইদাহ কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ছয়টি উপজেলার ১ থেকে প্রায় ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি পানির তলিয়ে গেছে।
ঝিনাইদাহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা, বিষখালী, মহারাজপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জমিতে এখনো পানি জমে থাকায় নতুন করে ধান রোপণ করতে পারছেন না।
সদর উপজেলার দাদলিয়াজাঙ্গার কৃষক আনিছুর রহমান জানান আমাদের মাঠে ধান বলতে আর কিছু নেই সব পানি নিতে তলিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন কিছু মানুষ ধান বিলে মাছে মাছ চাষ করতে তাদের জন্য মাঠের ধান খাল দিয়ে বেড় হচ্ছে যা যার মাঠে মাঠ ভরে উঠেছে বেশি।
শৈলকুপার বালিয়াপাড়া চট্টিরামবিল গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান আমার ১০ কাঠা মরিচ, দশ কাঠা পটল, পাঁচ কাঠা বেগুন আবাদ ছিল। টানা বৃষ্টির কারণে সব পানির নিচে তলিয়ে আছে। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গাছগুলো মরে যাবে। আমি এ ক্ষতি কীভাবে পুরিয়ে উঠব বুঝ পারছি না।
কালীগঞ্জ উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক জাহিদ হাসান জানান আমার ১০ কাঠা মরিচ ও ১০ কাঠা পটল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি সরার সাথে সাথেই গাছগুলো মরে থাকবে। কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়গুড়িয়া এলাকার কৃষক শাহাজান আলী জানান গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে আমার এক বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে আছে কম বেশি সব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। আমরা আগো বাড়ী ঘরে তুলতেও পারি কি না জানি না।
মেহেরপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের মিজানুর রহমান জানান আমার চার বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আবারও নতুন করে ধানের চারা রোপণ করতে হবে। কিন্তু ধানের চারা পাব কোথায়।
ঝিনাইদাহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষ্টিফি চন্দ্র ব্যান বলেন কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের সহযোগতায় বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা সমাধান করা হয়েছে, বাকী অংশে কাজ চলছে। যেখানে যেখানে বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যে সেখানে অপসারণ কাজ হয়েছে। বাকী সব বাঁধ এখনো অপসারণ করা হয়নি সেগুলোর অপসারণের চেষ্টা করা যাচ্ছে।


