পুঁজিবাজার ডেস্ক: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত সিটি ব্যাংক পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের ঘোষিত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিটি সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এবং বোনাস লভ্যাংশ সিডিবিএলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।
আরোচ্য অর্থবছরের জন্য সিটি ব্যাংক ১২.৫ শতাংশ নগদ ও ১২.৫ শতাংশ বোনাস মোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭.৫৩ টাকা যা ২০২৩ সালে হয়েছিল ৫.২১ টাকা, ২০২২ সাল ছিল ৩.৯৮ টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৫.১৫ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ৪.২৯ টাকা।
কোম্পানির গত ৫ বছরের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ হয়েছে ২০২৪ সালে ৩৪.৩৯ টাকা যা ২০২৩ সালে ছিল ৩১.৪২ টাকা, ২০২২ সালে ২৮.২১ ছিল টাকা, ২০২১ সালে ছিল ৩০.৬৮ টাকা ও ২০২০ সালে ছিল ২৯.০৩ টাকা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২৪ সালে দিয়েছে ১২.৫ শতাংশ নগদ ও ১২.৫ শতাংশ স্টক, ২০২৩ সালে দিয়েছে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক, ২০২২ সালে দিয়েছে ১০ শতাংশ নগদ ২ শতাংশ স্টক, ২০২১ সালে ১২.৫ শতাংশ নগদ ও ১২.৫ শতাংশ স্টক এবং ২০২০ সালে ১৭.৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কোম্পানিটি ২০০০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৮৬ সালে তালিকাভূক্ত হয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমান ১৫২১ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার ১৫২ কোটি ১২ লাখ ২২ হাজার ০৬৯।
ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ি ৩০ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৩০.৩৬ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ২২.৫ শতাংশ শেয়ার, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬.৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে ৪০.৬১ শতাংশ শেয়ার।
তথ্য অনুসারে, গত বছর কোম্পানিটির শেয়ার দর উঠানামা হয়েছে ১৭.৯ টাকা থেকে ২৬.৭ টাকার মধ্যে। গতকাল সমাপনি দর ছিল ২৩.৯ টাকা এবং আজকের ওপেনিং দর ছিল ২৩.৯ টাকা। ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে কোম্পানিটি বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।


