অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: বিশ্ববাণিজ্যের জটিল পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ এশিয়ার পোশাক রপ্তানিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলেছে। চীন ও ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হলেও, বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাত উল্লেখযোগ্যভাবে জোড়ালো হয়েছে। ভিয়েতনামও বাণিজ্যে ভালো অগ্রগতি দেখাচ্ছে। একই সঙ্গে, দেশের অর্থনীতির উৎপাদন ও সেবা খাতের গতিশীলতা নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে শক্তি যোগাবে।
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ফাইবার টু ফ্যাশন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল (টিএন্ডএ) রপ্তানি ৪৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৩৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এর পাশাপাশি ভিয়েতনামের রপ্তানিও ২৬.২ শতাংশ বেড়ে ৮.৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে; বছরের প্রথম প্রান্তিকে ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও জুনে তা মাত্র ৩.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ভারতের রপ্তানি মূল্য ৫.৩৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
চীনের পরিস্থিতি আরও কঠিন, যুক্তরাষ্ট্রে তার টেক্সটাইল ও পোশাক রপ্তানি ৪১ শতাংশ কমে ৯.৩৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এ ধাক্কার কারণে দুই দেশের বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা আরও বেড়েছে বলে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি (সিআইটিআই) জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ এপ্রিল ঘোষিত শুল্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি বাড়ায় এ অঞ্চলের জন্য আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে সামগ্রিক বিশ্ববাণিজ্যের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বড়সড় ওঠানামা চলছেই।


