স্পোর্টস ডেস্ক: এক টেস্টে পাঁচ সেঞ্চুরি! ভারতের টেস্ট ইতিহাসে আগে কখনও কেউ করেনি। কিন্তু দিনের শেষে সেই রেকর্ডের ম্য়াচেও হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। পঞ্চম দিনে শেষ ইনিংসে ৩৭১ রান তুলে ফেলল ইংল্যান্ড। অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেল ভারত।
ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা কার্যত অসাধ্য সাধন করলেন। শেষদিন জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৫০ রান। টেস্টে শেষদিনে ব্য়াট করতে নেমে দূরন্ত শুরু করেন দুই ওপেনার। প্রথম উইকেটেই প্রায় অর্ধেক রান ওঠে যায়। ক্রলি ৬৫ রানে আউট হলেও ডাকেট ১৪৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে গেলেন। ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পড়ে ১৮৮ রানে। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ওলি পোপ এবং হ্যারি ব্রুকও দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচে ফিরলেও ফিরতে পারে।
শেষদিকে জো রুট, বেন স্টোকস এবং জেমি স্মিথ ম্যাচ শেষ করে দিলেন। পাঁচ উইকেট খুইয়েই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। এদিন জঘন্য বোলিং করলেন যশপ্রীত বুমরারা। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ওভারে ৬ রানেরও বেশি করে বিলোলেন। শার্দূল ঠাকুর রান দিলেন ওভারে পাঁচেরও উপরে। সিরাজ এবং বুমরাহ ভালো বল করলেও ভাগ্য এবং ফিল্ডাররা তাঁদের সঙ্গ দেননি। গোটা ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া অন্তত গোটা আটেক ক্যাচ ছেড়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসেও একাধিক ক্যাচ মিস হয়েছে।
টেস্ট ইতিহাসে এর আগে পাঁচজন ব্যাটার শতরান করলে সেই দল জয় পেয়েছে—এমন ঘটনা ঘটেছে পাঁচবার। ভারতের শতরানের ঘটনা ষষ্ঠবার হলেও, তারাই প্রথম দল যারা এত শতরানের পরও জয় পাননি। সফরকারী দলের মধ্যে দ্বিতীয় দল হিসেবে এক ম্যাচে পাঁচ শতরান করল ভারত। এর আগে ১৯৫৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ব্যাটার এক ইনিংসেই শতরান করেছিলেন। সেবার ৮ উইকেটে ৭৫৮ রান করে ডিক্লেয়ার করেছিল অস্ট্রেলিয়া।
এছাড়া হেডিংলে টেস্টের শেষ দিনে রান তাড়া করে জয় পাওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। চতুর্থ ইনিংসে তারা ৩৫০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয়। এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দখলে—১৯৪৮ সালে লিডসেই ৪০৪ রান করে জয় পেয়েছিল তারা। তৃতীয় স্থানে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যারা ১৯৬৯ সালে অকল্যান্ডে ৩৪৫ রান তাড়া করে জিতেছিল।