সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে প্রত্যেক দণ্ডিতকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন—মৃত কাশেম আলীর দুই ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হামিদুল ইসলাম দুলাল জানান, মামলার ১৮ আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন এবং অপর ১৩ জনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত গোলাম মোস্তফার সঙ্গে আসামিদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে পুলিশ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।


