অর্থ-বাণিজ ডেস্ক : ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশ কোনো সমস্যা বোধ করছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, সরকার তৈরি পোশাক রপ্তানিসহ সার্বিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করবো, বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াবো।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ইস্যুতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা (ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল) আমাদের ওপর হঠাৎ করে আরোপিত হয়েছে। সাথে সাথেই আমাদের সকল অংশীজন নিয়ে গতকাল আমি মিটিং করেছি। ইনশাআল্লাহ, এটাতে আমরা কোনো সমস্যাবোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা, প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এবং আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে যোগাযোগের কোনো ঘাটতি না পড়ে- সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, এটা আমরা উতরে যাব।’
তিনি আরো বলেন, তিনটি পোর্ট ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট হতো। সরকার এখন অন্য উপায়ে এগুলো করার চেষ্টা করবে এবং এটা করা সম্ভব। শিগগিরই এই প্রভাব কাটিয়ে উঠবো। এছাড়া রপ্তানি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না হয় সেই চেষ্টা করা হবে।
কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করবো না। প্রতিযোগিতায় আমাদের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো কিছু কাঠামোগত, কিছু খরচের দিক থেকে। সব জিনিস সমন্বয় করে আমরা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবো। আমি এখানে কোনো সমস্যা দেখছি না।
ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভারতকে কোনো চিঠি পাঠানো হবে কি না—জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে এটা বিবেচনা করছি না।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির যে প্রক্রিয়া, তাতে এ সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে সরকার তৈরি পোশাক রপ্তানিসহ সার্বিক বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিতের বিষয়ে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ভেরি গুড। আমাদের বাণিজ্যের মধ্যে স্থিরতা দেখা দেবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে করণীয় আছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায়নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো- সেই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সেই অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি সমন্বয় করাই আমাদের মূল আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কাজ করছি।
শেখ বশীরউদ্দিন বলেন, গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে অনলাইনে। আমরা আমাদের কর্মসমষ্টিগুলো নিয়ে কাজ করছি। যখন সম্ভব আমরা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে নিজেরাও যাবো এবং আমাদের অবস্থান তুলে ধরবো।
আরও পড়ুন: