নিজস্ব প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে এজাহারভুক্ত আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে এসে পুলিশ সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি ও গালিগালাজের অভিযোগে সিংগাইর থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
গ্রেফতার ও বহিষ্কারকৃতরা হচ্ছেন- সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন (৪৫) ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম (২৫)। এদের মধ্যে জীবন সরকার সিংগাইর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের গোবিন্দল (হেলাল হাজী মহল্লা) গ্রামের মৃত আব্দুল করিম সরকারের ছেলে ও শফিকুল ইসলামের একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলের দিকে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নৈতিক স্থালনজনিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। সেই সঙ্গে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুপুরের দিকে তাদেরকে মাদক সেবনের অভিযোগে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে সিংগাইর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পার্থ শেখর নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের সার্টিফিকেটের মাধ্যমে মাদক সেবনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশ। এর আগে শনিবার রাত ৯টার দিকে সিংগাইর থানা চত্ত্বর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, সিংগাইর থানার একটি নিয়মিত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরিফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার রাত নয়টার দিকে সাবেক কাউন্সিলর নূরে আলম বাবুলসহ কয়েকজন লোক থানায় এসে চিল্লাচিল্লি শুরু করে। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও শফিকুল ইসলাম এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করেন। তারা মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছ থেকে মাদক সেবনের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জেওএম তৌফিক আজম বলেন, বেশ কিছু লোকজনের সাথে মদ্যপ অবস্থায় জীবন ও শফিকুল থানায় আসে। এরপর তারা এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে ছেড়ে দিতে বলেন। এ নিয়ে পুলিশের সাথে অসদাচরণ করেন তারা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।