ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে টাকা ছাড়া ফাইলই নড়ে না। টাকা দিলেই ফাইল চলে দ্রুত গতিতে। আর টাকা না দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা মাসের পর মাস ভোগান্তির শিকার হন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে চলমান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) এ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন চালুর পূর্বে তাদের এমপিও সিটে বিভিন্ন ভুল সংশোধনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করে। তারই আলোকে শিক্ষক কর্মচারীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা অফিসের অনলাইনে দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দীনেশ চন্দ্র পাল ওই সকল শিক্ষক কর্মচারীদের অফিসের ডেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর টাকা না দিলে ভুক্তভোগীদের ফাইলে সমস্যা দেখিয়ে ফেরত দিচ্ছেন।
বর্তমানে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষক কর্মচারীদের বিএড স্কেল, উচ্চতার স্কেল এবং আপার স্কেল গ্রহণের কাগজপত্র মাধ্যমিক কার্যালয়ে পাঠানোর পর শিক্ষা কর্মকর্তা ঐ সকল শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে চুক্তি মোতাবেক মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিক শিক্ষক কর্মচারী অভিযোগ করছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) দীনেশ চন্দ্র পাল সকল প্রকার ঘুষ-বাণিজ্যের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন তার কোনো ভিত্তি ও সত্যতা নেয়। দিনরাত পরিশ্রম করে আজ পর্যন্ত ২০০ টির অধিক ফাইল ছেড়েছি। এখনো বেশকিছু জমা আছে। আমার অফিসের কেউ অর্থনৈতিক লেনদেনের সাথে জড়িত আছে কিনা তা আমি খতিয়ে দেখব বলেও যোগ করেন তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, ইএফ টির কাজের জন্য টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। বিধি বহির্ভূত যে কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিললে নেওয়া হবে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম বলেন, টাকা দিলে কাজ হবে, না দিলে হবে না এমনটি করা বেআইনি এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি সেবা প্রদানে কেন টাকা লাগবে? এ বিষয়ে আমি খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।