কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : রাজধানীর বনশ্রীতে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের মামালায় গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের আরও কঠিন সাজা হওয়া উচিত। যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহসও না পাই। আমরা আজকের এ রায়ে সন্তুষ্ট।
তবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন তারা।
জানা যায়, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকার বাসা বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী সাইফুল ইসলামের বাসার গৃহ শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম তার ৭ বছরের মেয়েকে আরবি পড়তে গিয়ে ওয়াশরুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি মামলায় দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।