নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বাসা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির খালাসের বিষয় তুলে ধরে বলেন, যৌথবাহিনী উনাকে গ্রেফতারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যমূলভাবে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজহারে বলা হয়, একটি লাল-কালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, কিন্তু জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগ ছিল না।
শিশির মনির আরও বলেন, যেই জিডিমূলে উনাকে গ্রেফতার করা হয়, আদালতে দরখাস্ত দেওয়া সত্ত্বেও সেই জিডি বিচারিক আদালতে প্রদর্শন করা হয়নি।
এ ছাড়া আসামিপক্ষ থেকে ঘটনার দিন ওই বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আদালতে উপস্থাপনের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি। মূলত যৌথবাহিনীর কয়েকজন সদস্য উল্লিখিত লাল-কালো ব্যাগ হাতে নিয়েই বাসায় প্রবেশ করে। মামলায় দুজন নিরপেক্ষ সাক্ষী রয়েছে। দারোয়ান ও ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি। তারা সাক্ষ্য প্রদানকালে বলেন, তাদের সামনে জব্দ করা হয়নি। শুধু স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৮ মে বাবরের গুলশানের বাসার শোয়ার ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করার অভিযোগে একই বছরের ৩ জুন রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা হয়।
বিচার শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর নয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত বাবরকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে ২০০৭ সালেই আপিল করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে প্রায় ১৭ বছর কারাবন্দি ছিলেন বিএনপির এই নেতা।
এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। সেসব মামলা থেকে খালাস ও জামিনের পর চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। তবে এ মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। আজ ওই মামলার রায়ে তিনি খালাস পেলেন।