আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হিমেল বাতাসের সাথে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনভর সুর্যের দেখা না মেলায় শীত বেশি অনুভুত হচ্ছে। রাত হলে বাড়ছে ঘন কোয়াশা সেই সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীত নীবারনে খড়খুটো জ্বালিয়ে অনেককে উঞ্চতা নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত বুদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় গরম কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের আনাগোনা থাকায় ফুটপাতের বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি যাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। শহরের বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনের সড়কের পাশে, এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে বসেছে পুরনো কাপড়ের পসরা।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া অফিস।
অপরদিকে, হাড় কাঁপানো শীতে সারা দিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ২টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সকালের দিকে কুয়াশায় যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন শীতার্ত মানুষেরা। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক চলাফেরাও অনেকটা থমকে গেছে। শীতের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকপ। সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছে না সল্প আয়ের মানুষেরা।