অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক: সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডিজেল আমদানি করা হবে।
বিপিসি’র বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে। বাকিটা স্থানীয় পরিশোধনাগার থেকে পাওয়া যায়।
এবছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭টি দেশের আটটি সংস্থা থেকে এই পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।
ভারত ছাড়াও যে দেশগুলো রয়েছে সেগুলো হল- চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
মূলত বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে বাংলাদেশে আসছে।
এই রিফাইনারি থেকে তেল আনার পরিমাণ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন। এই পাইপলাইন দিয়ে নুমালিগড় থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জ্বালানি তেল আসছে। গত বছর ভারত থেকে ৭০ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এদিকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শীতল হয়েছে। এরই মধ্যে ভারত থেকে ডিজেল কিনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।