স্পোর্টস ডেস্ক : আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসর। তার আগে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে আসরের মাসকাট উন্মোচন করলো বিসিবি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজন করা হয় ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ শীর্ষক এক জমকালো অনুষ্ঠান। তরুণ ও যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশব্যাপী এই আয়োজনের মিডিয়া লঞ্চিং প্রোগ্রামে উন্মোচিত হয় বিপিএলের নতুন মাসকট ও থিম সং।
মূল অনুষ্ঠানের আগেই উপস্থিত হন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি বিপিএলের এবারের আসর নিয়ে বিসিবি এবং সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেন। তার নেতৃত্বে বিপিএলের ভেন্যুগুলোর সংস্কার এবং নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় এবারের বিপিএল ঘিরে এমন আকর্ষণীয় আয়োজন সম্ভব হয়েছে।
এই আয়োজন পরিণত হয় সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের এক মিলনমেলায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম। তাদের পাশাপাশি নারী ক্রিকেট দলের সদস্য, ফুটবল এবং অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তারা ও খেলোয়াড়রা অনুষ্ঠানটিকে রঙিন করে তোলেন।
অনুষ্ঠানে শুরু থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তার নেতৃত্বে বোর্ডের অন্যান্য পরিচালক এবং সদস্যরা অনুষ্ঠানকে সফল করতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন।
এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের সম্মানে প্রমাণ্য চিত্র ‘জুলাই-অনির্বাণ’ প্রদর্শন করা হয়েছে। এরপর বিপিএলের মাসকাট উন্মোচন করা হয়। যেখানে স্মরণ করা হয় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের শহীদদের এবং বিপ্লবে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের।
বিপিএলের এবারের মাসকাটের নাম দেওয়া হয়েছে ডানা ৩৬। মূলত, ডানাকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
‘ডানা-৩৬’ মাসকটটি সাম্প্রতিক ছাত্র-নাগরিক আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা এবং ক্রীড়ামোদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। পায়রার আকৃতির এই মাসকটটি শান্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং জাতির শক্তি ও ঐক্যের প্রতীক।
অনুষ্ঠানে তারুণ্যের মধ্যে উদ্দীপনা ছড়াতে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। তাদের অংশগ্রহণ পুরো আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।