এন জি চক্রবর্তী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) ৪৪তম অংশ
দ্বিতীয় ভাগ।
চৌত্রিশ অধ্যায়।
বছর শেষের ক্লোজিং।
এভাবে পুরানো লেজারের প্রতিটি হিসাবের ব্যালেন্স নুতন লেজারে ট্রান্সফার করুন। এসব হিসাবের মধ্যে থাকবে ক্যাশ, ক্যাপিটাল, মজুদ পণ্য, আসবাবপত্র, বিল্ডিং, দেনাদার, পাওনাদার, অফিস, এজেন্সি আর আয়কর (প্রথা অনুযায়ি এগুলো হচ্ছে মূলধনী হিসাব আর মূলধনী হিসাব বছর শেষ হলেও থেকেই যায়)।
আবার কিছু হিসাব আছে যার ব্যালেন্স নুতন লেজারে ট্রান্সফারই হয় না। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক, পারিবারিক, বিশেষ খরচ যেমন রয়েছে তেমনি আবার প্রাপ্ত ভাড়া, পেনশন বা অন্যান্য খাত থেকে আয় হিসাবও রয়েছে। এসবের ব্যালেন্সগুলো পুরানো লেজারের লাভক্ষতি হিসাবে স্থানান্তরিত হয় (যা সঞ্চয় ও ঘাটতি বা লাভ ও ক্ষতি হিসাব বলে পরিচিত)।
সঞ্চয় ও ঘাটতি বা লাভ ও ক্ষতি হিসাব, নাম যাইই দিই না কেন, সমস্ত খরচ ওই হিসাবের ডেবিট দিকে আর রেভিনিউ হিসাবে যা যা প্রাপ্তি তা ওই হিসবের ক্রেডিট দিকে আপনি ট্রান্সফার করুন। এবার এই হিসাবটির দুপাশ মানে ডেবিট কলাম আর ক্রেডিট কলাম যোগ করুন। দুদিকের পার্থক্যটি নির্ণয় করুন। যদি ডেবিট দিক বড় হয় তাহলে বুঝবেন ওই বছরে আপনার ওই পরিমান ক্ষতি হয়েছে, আর যদি ক্রেডিট বড় হয় তাহলে লাভ।
এই লাভক্ষতি হিসাবের ব্যালেন্স নির্ণয়ের পর সেটাকে ক্লোজিং পদ্ধতি অনুসরণ করে পুরানো লেজারেরই মূলধন হিসাবে স্থানান্তর করুন। এটা হলো সেই হিসাব যা আপনি আপনার ব্যবসায়ে বিনিয়েজিত সমস্ত সম্পত্তির মূল্য দিয়ে প্রথমেই খুলেছিলেন।
ওই লাভক্ষতি হিসাবটির ব্যালেন্স এভাবে স্থানান্তরিত করে ক্লোজ করুন। যদি আপনার ক্ষতি হয়ে থাকে, ঈশ্বর এ পরিস্থিতিতে পুণ্যবান খৃষ্টানকে কখনো ছেড়ে যান না, তাহলে হিসাবটির ক্রেডিট দিকে ব্যালেন্সিং ফিগারটা লিখে ওটাকে মূলধন হিসাবে নিচের দেখানো মতে ট্রান্সফার করুন: