কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগে নতুন আইন হচ্ছে। তিনি বলেন, কারও পছন্দে নয়, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ হবে আইনের আলোকে। এছাড়া সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হবে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া সব ফৌজদারি মামলা বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, কাজ নিয়ে সন্তুষ্টি না। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যোগ্যতার ঘাটতি আছে তবে আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। ভুল করতে পারি, যোগ্যতা কম থাকতে পারে। কিন্তু কোনো অন্যায় করিনি। দিনে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করেছি।
এ সময় আইন উপদেষ্টা জানান, সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হবে। এর পরিবর্তে সাইবার সুরক্ষা আইন করা হবে।
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের কিছু সংশোধনী আনা হচ্ছে। আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। অতিপ্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন করে নির্বাচন দেবো,’ যোগ করেন তিনি। সেইসঙ্গে গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া সব ফৌজদারি মামলা বাতিল করা হবে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘ভুল করতে পারি; যোগ্যতা কম থাকতে পারে। কিন্তু কোনো অন্যায় করিনি। দিনে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করে যাচ্ছি।’
সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে উদ্দেশ করে আসিফ নজরুল বলেন, ওভার নাইট কোনো কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব নয়, এটি অযৌক্তিক। সরকারকে আন্দোলনকারীরা কিছুটা পেয়ে বসেছে। তবে সরকার যখন কঠোর হবে, তখন কঠোর হওয়ার মতোই হবে।
মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ট্রেনে আক্রমণ করে নারী ও শিশুকে আহত করা অমানবিক।
আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, পতনের ২/৩ দিন আগে নিজের পরিবার আত্নীয়-স্বজনদের পাঠিয়ে দিয়ে শেখ হানিনা পালিয়ে গেলেন। আর এখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে ফোনালাপ ফাঁস করে নেতাকর্মীদের উস্কানি দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলবো- আপনারা শেখ হাসিনার কাছে জবাবদিহিতা চান, তিনি কেন কিছু না বলে পালিয়ে গেলেন।