কর্পোরেট ডেস্ক: চলছে ভিভোর ভি সিরিজের এ বছরের শেষ স্মার্টফোন ভিভো ভি৪০ লাইটের ফার্স্ট সেল পর্ব। আল্ট্রা স্টাইলিশ ডিজাইন, ৮০ ওয়াটের ফ্ল্যাশ চার্জ ও এআই ক্যামেরা ফিচার নিয়ে ইতোমধ্যেই সাড়া ফেলেছে নতুন এ ডিভাইসটি। সবচেয়ে বেশি নজড় কেড়েছে টাইটানিয়াম সিলভার কালারের ভিভো ভি৪০ লাইট। পাশাপাশি এমারেল্ড গ্রিন নামের আরেকটি কালারে পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনটি। এতে রয়েছে অরা লাইট পোর্ট্রেট ও এআই ফিচার সমৃদ্ধ ক্যামেরা।
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫, যার আন-তু-তু টেস্ট স্কোর ৩,৭০,০০০ এর বেশি। ড্রপ টেস্ট স্কোর ৩২ হাজার হওয়ায় হাত থেকে পড়ে গেলেও বেশ নিশ্চিন্তে থাকা যাবে। পাশাপাশি ভলিউম বাটনটি প্রেস টেস্ট স্কোর দেড় লাখ, পাওয়ার বাটন প্রেস টেস্ট স্কোর পাঁচ লাখ। এমনকি এক্সট্রিম এনভায়রনমেন্ট টেস্টেও ভালো পারফরমেন্স করেছে ভিভো ভি৪০ লাইট।
উন্নত সাউন্ড কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ডুয়েল অডিও স্পিকারের সঙ্গে ৩০০ শতাংশ অডিও বুস্টার। পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভ্যারিয়েন্টে: ৮ জিবি র্যাম + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম + ১২৮ জিবি স্টোরেজের দাম ২৮,৯৯৯ টাকা, এবং ৮ জিবি র্যাম + ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম + ২৫৬ জিবি স্টোরেজের দাম ৩১,৯৯৯ টাকা।
হাই-টেক লুক ও স্লিম ডিজাইনের ডিভাইসটিতে আছে মেটালিক হাই-গ্লস ফ্রেম ও স্মুদ ফিনিশ। ৮০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ প্রযুক্তি মাত্র ৩০ মিনিটে ৮০ শতাংশ পাওয়ার-আপ করবে ডিভাইসটির ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারিকে। রয়েছে ৪ বছরের ব্যাটারি হেলথের নিশ্চয়তা।ভিভো ভি৪০ লাইটের ফ্রন্টে ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, আর পেছনে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা ও ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা। এর আইপি৬৪ ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার প্রযুক্তি ধুলো ও পানি থেকে ডিভাইসকে রাখে সুরক্ষিত।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।