কর্পোরেট ডেস্ক: দেশের বাজারে নতুন দু’টি ওয়াশিং মেশিন নিয়ে এসেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডটি এ ওয়াশিং মেশিনগুলোতে অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ফিচার যুক্ত করেছে,
নতুন মডেলের মধ্যে রয়েছে ৯ কেজি ধারণক্ষমতার এআই মডেল ডব্লিউডব্লিউ৯০টি৫, যেটাতে যুক্ত করা হয়েছে এআই+ইকোবাবল+অ্যাডওয়াশ সুবিধা। এ মেশিনের এআই ইকোবাবল ফিচার কম তাপমাত্রায় বেশি বুদবুদ তৈরি করে, যা কাপড়ের সঠিক যত্ন নিবে ও কাপড়কে করবে আরও পরিষ্কার। ‘অ্যাড ওয়াশ’ অপশন থাকায় ব্যবহারকারীরা সহজেই ওয়াশিং সাইকেলের মধ্যেই আরও কাপড় বা ডিটারজেন্ট/সফটনার যোগ করতে পারবেন। অত্যাধুনিক এই হোম অ্যাপ্লায়েন্সটি ইনক্স রঙে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে যেকোনো স্থান থেকে এ ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
অন্য মডেলটির নাম ডব্লিউডব্লিউ৮০এজি। স্টিম ওয়াশ মেশিনটিতে রয়েছে ইকোবাবল, হাইজিন স্টিম ও কুইক ওয়াশের মতো দারুণ সুবিধা। হাইজিন স্টিম কার্যকরভাবে জমে থাকা ময়লা এবং ৯৯.৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জেন দূর করবে এবং প্রি-ট্রিটমেন্ট ছাড়াই কাপড় পরিষ্কার করবে। কুইক ওয়াশের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মাত্র ১৫ মিনিটেই দৈনন্দিন লন্ড্রি সম্পন্ন করতে পারবেন।
ডব্লিউডব্লিউ৯০টি৫ মডেলটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯,৯০০ টাকা এবং ডব্লিউডব্লিউ৮০এজি মডেলটি ক্রেতারা কিনতে পারবেন ৭১,৯০০ টাকায়।
স্যামসাংয়ের বহুল প্রশংসিত ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি শক্তিশালী ম্যাগনেট ব্যবহার করে তুলনামূলক কম শব্দে শক্তিশালী পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে, যা ইউনিভার্সাল মোটরের চেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এ ডিজিটাল ইনভার্টার উভয় মডেলে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে এবং সাথে রয়েছে ২০ বছরের মোটর ওয়্যারেন্টি; ফলে, থাকছে না বাড়তি খরচের চিন্তা।
এ নিয়ে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস ডিভিশনের ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “সাধারণত, বাজারে যে ইলেকট্রনিকস অ্যাপ্লায়েন্স পাওয়া যায়, তার তুলনায় স্যামসাং এর পণ্য ব্যবহারকারীদের সেরা মান ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করে, আর এ বিষয়টিই স্যামসাংকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আমাদের প্রতিবন্ধকতাকে দূর করবে। যার উদাহরণ, স্যামসাং এর নতুন ওয়াশিং মেশিন। নতুন এআই ওয়াশিং মেশিনগুলো ব্যবহারকারীদের কাপড় পরিষ্কারকে করবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক এবং মডেলগুলো একইসাথে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।”