কর্পোরেট ডেস্ক: নভেম্বরের শুরুতেই আসছে ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৪০ লাইট। ভি সিরিজের নতুন এই স্মার্টফোনে থাকছে স্টাইলিশ ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরমেন্সের সমন্বয়।
মিডরেঞ্জের স্মার্টফোনে মিলবে হাই ডেফিনেশন লুক, এমনটাই জানিয়েছে ভিভো। ডিভাইসটিতে থাকছে স্লিম ডিজাইন, মেটালিক হাই-গ্লস ফ্রেম ও প্রিমিয়াম রঙের কম্বিনেশন। টাইটেনিয়াম সিলভার ও এমারাল্ড গ্রিন-এই দুই ফ্যাশনেবল রঙে পাওয়া যাবে স্মার্টফোনটি। এরমধ্যে টাইটেনিয়াম সিলভার মডেলটিতে রয়েছে এক্সক্লুসিভ কালার চেঞ্জিং টেকনোলজি। আর এর ডায়মন্ড স্টারি টেক্সচার স্মার্টফোনটিকে দেবে হাইটেক ভাইভ।
আল্ট্রা স্লিম বিল্ডের স্মার্টফোনটি ওজনেও বেশ হালকা। এর ওজন হবে মাত্র ১৮৮ গ্রাম। স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডের ক্যামেরা লেন্স ডিজাইনে রয়েছে কুশন-কাট ডায়মন্ড ক্যামেরা শেইপ মডিউল, যা ভিভোর সিগনেচার ডিজাইনের বাইরে এক নতুন স্টাইল অফার করছে ভিভোর নতুন এই স্মার্টফোনটি।
স্টাইলিংয়ের পাশাপাশি পারফরমেন্সের দিক থেকেও এগিয়ে থাকবে ভিভো ভি৪০ লাইট। ৮০ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জার এবং ৫০০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি থাকছে স্মার্টফোনটিতে। থাকছে চার বছরের ব্যাটারি হেলথের নিশ্চয়তা। এছাড়া এর ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডিসপ্লে স্ক্রলিং ও ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সকে করবে আরও স্মুথ ও রিয়েলিস্টিক।
স্মার্টফোন ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির এখন সময়ের চাহিদা। সে বিবেচনায়, ভি সিরিজের সিগনেচার অরা লাইট পোর্ট্রেটের সাথে থাকছে এআই। ফিচারটি ভি সিরিজে দারুণ এক সংযোজন। অরা লাইট পোর্ট্রেইটের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারেও হবে ঝকঝকে পোর্ট্রেট ফটোগ্রাফি। এছাড়া এআই ইরেজ ও এআই ফটো এনহ্যান্সমেন্ট- মতো ফিচার ছবি থেকে অবাঞ্ছিত উপাদান সহজেই মুছে ফেলবে, ছবিকে করবে আরও স্পষ্ট।
স্লিম হলেও ভিভো ভি৪০ লাইটে পাওয়া যাবে মজবুত বিল্ড কোয়ালিটি ও আইপি৬৪ ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ও ওয়েট-হ্যান্ড টাচ টেকনোলজির মতো টেকসই ফিচার।
ভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ^জুড়ে ৪০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।