নিজস্ব প্রতিবেদক : পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কল্যাণী এআইআইএমএস-এর কার্ডিওলজি ক্যাথ ল্যাব, হার্ট অ্যান্ড লাং মেশিন ও প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধ কেন্দ্রের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী করেন তিনি। সেই অনুষ্ঠান থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ নাগরিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
তার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা সিং-এর অসহযোগিতার কারণে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ এই দুই রাজ্যে কার্যকর হচ্ছে না।
এদিন ৭০ বছর বয়সোর্ধ্বদের জন্য ‘আয়ুষ্মান বয়স্ক বন্দনা প্রকল্প’ নামে একটি স্বাস্থ্য বিমা কার্ড চালু করেন, যা দিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করানো যাবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাবে না উল্লেখ করে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, আমি পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের বয়স্ক যত নাগরিক আছেন, তাদের সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি আপনাদের সেবা করতে পারলাম না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই আয়ুষ্মান প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। এরা রাজনীতি করছে নিজের রাজ্যেরই অসুস্থ মানুষদের সঙ্গে। একে মানবতা বলে না। এর জন্য আমার কষ্ট হয়। পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ নাগরিকেরা আমার কথা নিশ্চয়ই শুনছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতির কারণে আমাকে পশ্চিমবঙ্গের বয়স্ক মানুষদের সেবা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের গরিবদের পাঁচ লাখ রুপি পর্যন্ত স্বাস্থ্যের খরচ সরকার দেবে। চার কোটি মানুষ এই সেবা পাচ্ছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। কেন্দ্রের দেওয়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প সবাই পাবে না। কারণ যাদের কাছে দু’চাকা গাড়ি, বাড়ি ও স্মার্টফোন আছে, তারা কেউ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে না।
তৃণমূল মুখপাত্র আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প প্রত্যেক পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় এনে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে, যা মমতা ব্যানার্জীর সরকার এখানে করে রেখেছে। সেই তুলনায় কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প কিছুই না। প্রধানমন্ত্রী জেনে-বুঝেই বিভ্রান্তি তৈরি করছেন।