চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রেল লাইনের উপর থেকে শিলা খাতুন (২৩) নামের এক গৃহবধুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের উপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিলা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও একই এলাকার রাসেল আলীর স্ত্রী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। শিলা খাতুনের ১৪ মাসের এক শিশু সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পরই স্বামী রাসেল পলাতক রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে জিআরপি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা বলেন, চুয়াডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রেললাইনের উপর এক গৃহবধুর মরদেহ পড়ে ছিল। স্থানীয়রা খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেললাইনে ফেলে রাখা হয়েছে।
শিলা খাতুনের পিতা হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে জামাই মাঝে মাঝে নির্যাতন করতো। গতকাল রবিবার দুপুর থেকে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। ভোরে জামাই ফোন দিয়ে জানায় মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। জামাই কুপিয়ে হত্যার পর লাশ রেললাইনে লাশ রেখে দেয়। আত্নহত্যার নাটক সাজাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে। আমি তার শাস্তি চাই।
শিলা খাতুনের মা আফিরন নেছা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের চলছিল। আমার জামাই রাসেল আমাকে বলেছিল ডিভোর্স দিতে কাবিননামার টাকা পরিশোধ করতে হবে এ কারণে এখনি ডিভোর্স দেবে না।
অপরদিকে, শিলা আমাদের জানিয়েছিল, শ্বশুর বাড়িতে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করতো। তাই আমরা যেন নিজেরাই ডিভোর্স দিয়ে দিই। যেন রাসেলের টাকা না লাগে।
তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাত ৪টার দিকে আমাকে রাসেল কল করে বলে তোমার মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও চলে গেছে। সকালে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর ভিড় দেখতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের মরদেহ রেললাইনে পড়ে আছে। শরীরে ধারাল অস্ত্রের জখম রয়েছে। আমার মেয়েকে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে রেখে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। আমরা দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি চাই।