আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। স্থানীয় সময় শনিবার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বন্দর নগরী হাইফার উপকূলের দক্ষিণে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
নতুন করে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে অন্তত ১২ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের সেনা সমাবেশ ও কয়েকটি অবৈধ ইহুদি বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরাইলের বর্বর বাহিনী স্বীকার করেছে যে, দক্ষিণ লেবাননে স্থল অভিযান চালাতে গিয়ে তাদের এক ডজনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হাইফা শহরের দক্ষিণে একটি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। সেখানে তারা বিস্ফোরকের একটি গুদাম লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর (ব্লু হেলমেট) সদর দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২ জন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেওয়া ইউরোপীয় দেশগুলো এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় গুলি চালিয়েছে। তবে তাদের দাবি, হিজবুল্লাহর সশস্ত্র সদস্যরা জাতিসংঘের ঘাঁটির কাছে অবস্থান করছিল। ইতালি ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
লেবাননে জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলের একটি মেরকাভা ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলা দক্ষিণ লেবাননের নাকুরায় তাদের সদর দপ্তরের একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে আঘাত হানে। এতে দুইজন ইন্দোনেশীয় শান্তিরক্ষী আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা এয়ছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয়।