মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের আদালতের হাজতখানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া চাঞ্চল্যকর জাল টাকার মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি রাজু মিয়াকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে শেরপুর টাউনের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।
রাজু নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খোরশেদ আলম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে জেলা জজ আদালত ভবনের নিচে থাকা হাজতখানা থেকে দায়িত্ব থাকা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় রাজু মিয়া। এদিকে পালানোর পরপরই রাজুকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শেরপুর টাউনের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন সদর থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল।
এ ব্যাপারে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, হাজতখানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যাওয়া রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে পলাতক রাজু মিয়াসহ নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গুগড়াকান্দি গ্রামের শহিজ উদ্দিন আহালুর ছেলে মো. শাহিন (২৮) ও নকলা উপজেলার ভুরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (৬৭) কে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই ৩ আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালালে আদালত অঙ্গনেই আটক হয় শাহিন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারীসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।