আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননজুড়ে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় ৫৮ জন ৩৫ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৯২ জন প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৪৫ জন। কয়েক হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তঃসীমান্তে সহিংসতার মধ্যে এটাই সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে আজ এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
এদিকে আরব রাষ্ট্রগুলো হিজবুল্লাহর সাথে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা জোরদারের জন্য ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। প্রায় এক বছরের মধ্যে যুদ্ধ অতি মাত্রায় তীব্রতর হয়েছে।
ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর অতর্কিত নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০৫ জন বেসারিক নাগরিককে হত্যা করে।
ইসরাইল বলেছে, তারা হিজবুল্লাহ ‘বিপুল সংখ্যক যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এই সময় ইসরাইল লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১,৬০০টি স্থাপনায় হামলা চালায়। এর মধ্যে বৈরুতে একটি ‘লক্ষবস্তুকে লক্ষ্য’কে করেও হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এই হামলাকে ‘অপারেশন নর্দার্ন অ্যারোস’ নামে উল্লেখ করেছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, রাজধানীতে তাদের তৃতীয় কমান্ড আলী কারাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বিমান। তবে তিনি অক্ষত আছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় মিডিয়া পূর্ব লেবাননে নতুন করে ইসরাইলি অভিযানের খবর দেওয়ার পর হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরাইলি সামরিক স্থাপনাগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সোমবার ইসরাইলের উপকূলীয় শহর হাইফাতে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠলে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দৌড়াতে দেখা গেছে।
এদিকে ইরাক নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব রাষ্ট্রগুলোকে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছিল। এর ফলে ফ্রান্স এবং মিশর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই প্রাণঘাতি হামলা বন্ধে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, হামলার ফলে হিজবুল্লাহ দুই দশক ধরে তৈরি করা যুদ্ধের অবকাঠামোত ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবারের এই অভিযানকে ‘একটি উল্লেখযোগ্য শিখর’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।