নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কানাডায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির জামাতা নাদিম ইকবাল।
এর আগে গত ১৫ জুন রাতে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে টরন্টোর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। তখন জানা গিয়েছিল, শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। পরে ক্যাথেড্রাল দেয়া হলে কার্যকরী উন্নতি না হওয়ায় ইমারজেন্সিতে নেয়া হয়। পরদিন ইন্টেন্সিভ কেয়ার কেবিনে নেয়া হয় তাকে।
কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তারা সবাই এখন অটোয়ায় আছেন বলে জানান জারিফ চৌধুরী।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।। ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর কলেজে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কবি আসাদ চৌধুরীর চাকরিজীবন শুরু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন খবরের কাগজে সাংবদিকতা করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৮৩ সালে তার রচিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এছাড়া একই বছর তিনি সম্পাদনা করেন বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু’।
কবিতা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ইত্যাদি রচনা করেছেন। কিছু অনুবাদকর্মও তিনি সম্পাদন করেছেন।