নিজস্ব প্রতিবেদক : লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানিতে প্রায় ২ শতাধিক গ্রাম এখন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে আছেন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। গত দুইদিন ধরে নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়ছে। এতে সদর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের চন্দ্রগঞ্জ, হাজিরপাড়া, উত্তর জয়পুর, চরশাহী, দিঘলী, মান্দারী, দত্তপাড়া, বাঙ্গাখা ইউনিয়নসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে আছে জনপদ। মানুষ পরিবার পরিজন, হাঁস মুরগী ও গৃহপালিত পশু নিয়ে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে।
মেঘনা নদীর তীরবর্তী রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে তীব্র জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত এখন। বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কমলনগর, রামগতি, সদর ও রায়পুরের একাংশ। এসব এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিএনপি, জামায়াতসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আশ্রিতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, নোয়াখালীর বানের পানি রহমত খালী খাল ও ওয়াপদার খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে যাচ্ছে, তাই লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বন্যার্তদের জন্য ৬৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
তিনি জানান, গত তিনদিন থেকে জেলার পাঁচটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জন পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আজকে আরো অনেক মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র এসেছে।
সুরাইয়া জাহান আরো বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৫০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এদিকে শিশুখাদ্য জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্য জন্য ৫ লাখ টাকা আজ বরাদ্দ পেয়েছি।
গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ জনকে সাপে দংশন করেছে। আজ রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল জানান, সদর হাসপাতালে গত কয়েকদিনে ৭০ জন সাপে দংশনের রোগী এসেছেন। আক্রান্ত কয়েকজন রোগীকে বিষধর সাপের ছোবল দিয়েছে। এরমধ্যে সাতজন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।