আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারী বৃষ্টিতে ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড় জেলায় চার ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সড়ক ভেসে যাওয়ায় শতাধিক লোক আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকাটিতে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছেন এনডিআরএফসহ একাধিক সংস্থার সদস্যরা। খবর এনডিটিভির।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাজ্য সরকারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডাকে দলীয় কর্মীরা যেন উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর সঙ্গেও কথা বলেছেন, যিনি কেরালায় বিজেপির একমাত্র সংসদ সদস্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ওয়ানাড়ের কিছু অংশ ভূমিধসের কারণে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমার সমবেদনা এবং আহতদের জন্য প্রার্থনা। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চলছে। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সেখানে বিরাজমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই দুর্যোগে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে। আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, সমস্ত সংস্থা ওয়ানাড়ে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রীরা উদ্ধার অভিযানের সমন্বয় করবেন। তিনি এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। কেরালা রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও এনডিআরএফ ছাড়াও কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি করপোরেশনও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার শিগগিরই ওয়ানাড়ের উদ্দেশে রওনা হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে বলেও জানান তিনি।
এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কংগ্রেস নেতা ও ওয়েনাড়ের সাবেক সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী বলেন, তিনি এই বিপর্যয়ের জন্য ‘গভীরভাবে ব্যথিত’ এবং পরিবারের সদস্যকে যারা হারিয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, যারা এখনও আটকে আছেন, তাদের শিগগিরই নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে মুন্ডক্কাই, চুরমালা, আত্তামালা ও নুলপুজা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অনেক রাস্তা ধসে গেছে এবং একটি সেতু ভেসে গেছে এবং বেশ কিছু এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। হেলিকপ্টারও আনা হবে, কিন্তু আবহাওয়া খারাপ।’