নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে আবারও কেবিনে আনা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়।
দীর্ঘ ৫০ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে তিনবার সিসিইউতে নেওয়া হয়। তারপরও তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের (বেগম খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল। এই নিয়ে ৯ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত তিনবার সিসিইউতে নেওয়া হয়। আজকে আড়াই ঘণ্টার মতো সিসিইউতে ছিলেন ম্যাডাম।’
বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন। সরকারের ইচ্ছা আছে কিনা জানি না। একটা নির্বাহী আদেশেই মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে সরকার।’
বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের কারণে পেটে পানি চলে আসছে। সেটা বের করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেকটা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি চেয়ারপারসনের জটিল শারীরিক অবস্থার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে নতুন করে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দ্রুতই এ ব্যাপারে মতামত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা রোগে ভুগছেন। এর আগেও কয়েক দফায় তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।