ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। আর মিলাদুন্নবি (স.) বলতে নবিজির আগমনকে বোঝায়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে নবিজির আগমনে খুশি উৎযাপন করাকে বোঝায়।
এ বিষয়ে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেন- িহে প্রিয় রাসুল! আপনি স্মরণ করুন ওই দিনের ঘটনা- (রোজে আজলের সময়ের) যখন আমি (আল্লাহ) আম্বিয়ায়ে কেরামগণের নিকট থেকে এইভাবে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, যখন ‘আমি তোমাদেরকে কিতাব এবং হিকমত’ অর্থাৎ নবুয়ত দান করব, অতঃপর তোমাদের কাছে এক মহান রাসুলের শুভাগমন হবে- যিনি তোমাদের প্রত্যেকের নবুয়তের সত্যায়ন করবেন, তখন তোমরা সকলে অবশ্যই তার ওপর ঈমান আনয়ন করবে এবং সর্বোত্তমভাবে তাকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। তোমরা কি এ কথার অঙ্গীকার করছ এবং অঙ্গীকারে কি অটল থাকবে? সমস্ত নবিগণ বললেন- হাঁ, আমরা অঙ্গীকার করলাম। আল্লাহ তায়ালা বললেন- তোমরা পরস্পর সাক্ষী থেক এবং আমি ও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। এর পরেও যে কেউ পিছপা হয়ে যাবে- তারা হবে ফাসেক। (সুরা আল-ইমরান ৮১-৮২ নং আয়াত)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ- হে মানবকুল তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং অন্তর সমূহের বিশুদ্ধতা, হেদায়েত এবং রহমত ঈমানদারদের জন্য। হে হাবিব, (সা.) আপনি বলুন! আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তার দয়া প্রাপ্তিতে তারা যেন আনন্দ প্রকাশ করে। এটা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত সঞ্চয় করা অপেক্ষা শ্রেয়। (সুরা ইউনুছ, আয়াত নং- ৫৭-৫৮)।
হজরত ছুয়ায়লি (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত আব্বাস (রা.) এরশাদ করেন যে, যখন আবু লাহাব মারা যায় তার এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখি যে, বড়ই খারাপ অবস্থায় আছেন এবং তিনি বলছিলেন, তোমাদের কাছ থেকে আসার পর আমার কোনো শান্তি নসিব হয়নি। হ্যাঁ এতটুকু অবশ্যই যে, প্রত্যেক সোমবার আমার আজাব হালকা করে দেওয়া হয়। তা শুনে হজরত আব্বাস (রা.) বললেন, এটি এ জন্যই যে, নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার দিন দুনিয়াতে আগমন করেন। আর ছোয়াইবা নামী জনৈকা ক্রীতদাসী তাকে নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার আগমনের শুভ সংবাদ দিয়েছিলেন বিধায় সন্তুষ্টি চিত্তে আবু লাহাব তাকে আজাদ করে দিয়েছিলেন।