কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক :জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট থেকে সদ্য সরিয়ে দেওয়া মতিউর রহমানের স্থলে বিসিএস (শুল্ক ও আবগারি) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ওই পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সদস্য (টেকনিক্যাল) সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাসকে ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে এই আদেশ জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
অন্যদিকে দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে দলটি অনুসন্ধান শুরু করেছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মতিউর রহমানসহ তার স্ত্রী ও ছেলেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে ৪ বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান মতিউর।
তবে ওইসব অভিযোগ প্রাতিষ্ঠানিক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা। সর্বশেষ পঞ্চম দফায় তার বিরুদ্ধে ৩১ বছরের চাকরি জীবনে ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ জমা পড়ে। এ অভিযোগের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে নতুন একটি অনুসন্ধান শুরু করলো দুদক।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের পোস্ট করা ভিডিওতে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির জন্য ৩৭ লাখ টাকায় একটি গরু এবং ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার তথ্য উঠে আসে। এ খবর দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ যুবক এত টাকা কোথায় পেলেন? এমন প্রশ্ন সামনে রেখে একের পর এক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং একপর্যায়ে খবরের কেন্দ্রে চলে আসেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মতিউর রহমান।
এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, নিজের ও তার পরিবারের সদস্যেরদের নামে-বেনামে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া রিসোর্ট, আলিশান বাড়ি-গাড়ি ছাড়াও ডজনখানেক প্রতিষ্ঠানের মালিকানা ও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগেরও তথ্য-উপাত্ত উঠে আসছে।