বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কুন্দেরপাড়া নামের দুর্গম চড় এলাকায় গণ-উন্নয়ন একাডেমি নামের বিদ্যালয় ভবনটিতে রহস্যজনকভাবে আগুন লাগে। বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় অনেক কাগজপত্র পুড়ে যায়।
অগ্নিকান্ডটি কোন নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্তসাপেক্ষ। তবে গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরে একটি বিশেষ কুচক্রী মহল এ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজকর্মে বাধা দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাছের আরেকটি চরে বিদ্যালয় করার উদ্যোগ নিয়েছিল সে প্রভাবশালী মহল।
বিদ্যালয়ে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় ভবন পুড়ে যাওয়ায় তাদের অনেককেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গিয়েছে। এ রকম দুর্গম এলাকায় অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে অনেক শিক্ষার্থী দূর-দূড়ান্ত থেকে পড়তে আসে। এখন তাদের শিক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সবচেয়ে বড় সমস্যায এস.এস.সি পরীক্ষার্থীরা।
ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে কিংবা এটি কোন দুর্ঘটনা কিনা তা তদন্তের পর জানা যাবে। তবে তার আগে তদন্তের কাজটি দ্রুত সম্পাদান করা উচিত। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাসহ এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিকল্প ব্যবস্থা দ্রুতই গ্রহণ করা জরুরি। এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে আমরা দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ে প্রতিটি এসএসসি পরীক্ষার্থীরা মনোবল না হারিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া দরকার। আমরা চাই, পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের ছাইয়ের মাঝ থেকেই তোমাদের স্বপ্ন দ্বিগুণ উৎসাহে পূরণ হোক। সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়টি পূণ:নির্মাণ করা হোক আর যদি ঘটনাটি নাশকতা হয়ে থাকে তাহলে অনতিবিলম্বে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দেয়া হোক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।