স্বাস্থ্য ডেস্ক : বসন্ত থেকেই গরম শুরু। গরমে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হয়। লবণ বের হয়ে যায়। তাই শরীর যাতে লবণ বা পানিশূন্য হয়ে না পড়ে, এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। সেই সাথে লবণ মিশিয়ে পানি পান করলে শরীরে লবণের চাহিদা পূরণ করবে। এ ছাড়া গরমে বাজারে অনেক দেশি ফল আসে। যেমন- বাঙ্গি, তরমুজ, কাকুড়, নালিম, ক্ষীরা, শসা ইত্যাদি পানিসমৃদ্ধ ফল। এগুলো বেশি বেশি খাওয়া যায়।
গরমে দৈনিক পাঁচ কাপ চা বা কফি, তরমুজ, বাঙ্গি, ক্ষীরা, শসা কাঁচা খাওয়া অনেক ভালো। যথাসম্ভব গরম চা ও কফি এড়িয়ে চলুন লেবুর শরবত খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া য়ায়। গরমে সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিক পানি দিয়ে গোসল করা ভালো। আবার রাতে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে গোসল করে ঘুমাতে গেলে গভীর ঘুমে অচেতন হওয়া যায়। ভালো ঘুম হওয়া মানেই ফুরফুরে মেজাজ, তরতাজা মন আর প্রফুল্লচিত্ত। দৈনিক কমপক্ষে দেড় লিটার পানি পান করুন। শিশুদের ঘন ঘন পানি দেন মুখে। লক্ষ রাখুন, শিশুর ঠোঁট ও জিহ্বা যেন শুষ্ক না হয়। চামচ দিয়ে মুখে পানি দেবেন। বিনা প্রয়োজনে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোদে বের হবেন না।
যারা রিকশা-ভ্যান ইত্যাদি চালান, তারা সাথে বোতলে পানি রাখবেন। মাঝে মধ্যে পানি পান করবেন। ছায়ায় বিশ্রাম নেবেন। মাথায় ক্যাপ পরবেন এবং মাঝে মাঝে ক্যাপ খুলে মাথায় বাতাস লাগাবেন। চোখে কালো চশমা পরলে রোদের প্রখরতা থেকে রক্ষা পাবে। গোশত ও ডিম এড়িয়ে লাউ, শিম ও চালকুমড়ার রান্না তরকারি খাবেন। দুপুর ও রাতে খাবারে সালাদ, টক-মিষ্টি চাটনি খাবেন। সম্ভব হলে টকদই খান। প্রস্রাবের রং বিবর্ণ হলেই বেশি বেশি পানি পান করা অবশ্যক। ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ক্ষেতে খামারে রোদে কাজ না করা ভালো। এক কথায় শরীর যা চায় না , তা না করাই ভালো।
আরও পড়ুন: