আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্রিটেনের প্রথম ইউরোপীয় হওয়ার প্রচেষ্টা অবশেষে হতাশার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই অভিযান পরিচালনাকারী কোম্পানি ভার্জিন অববিট জানায়, উৎক্ষেপণের পরপরই রকেটটি একটি ‘অসঙ্গতিতে’ পড়ে। মহাকাশে বেশ কিছু সংখ্যক স্যাটেলাইট স্থাপনের উদ্দেশ্যে এ অভিযান শুরু হয়েছিল।
‘কসমিক গার্ল’ নামে পরিচিত এই ‘৭৪৭’ বিমান, রকেটকে সঙ্গে নিয়ে কর্নওয়াল এয়ারপোর্ট নিউকি’র নতুন লঞ্চস্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ হয়। আটলান্টিক মহাসাগরের ৩৫ হাজার ফুট ওপর থেকে আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ দিকে মুক্ত করা হয় এটি।
অভিযানের শুরুতে এটি সঠিকভাবে কাজ করলেও কোম্পানিটির কাছ থেকে খবর আসে ‘অসঙ্গতিতে’ পড়েছে রকেটটি। শেষ পর্যন্ত এটি গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি।
জানা গেছে, ভার্জিন অরবিট সিস্টেম তুলনামূলকভাবে নতুন। এটি শুধু ২০২০ সাল থেকে কাজ করছে।
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণের পর ইতালির-নির্মিত ভেগা-সি রকেট মিশন ব্যর্থ হওয়ার পরে এটি ইউরোপীয় মহাকাশ উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর আরও একবার ধাক্কা দিলো।
ভার্জিন অরবিট প্রথমে টুইটারে বলেছিল, লঞ্চারওয়ান পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছেছে। পরে সেই টুইট ডিলিট করা হয়।
যুক্তরাজ্যের স্পেস এজেন্সির কমার্শিয়াল স্পেস ডিরেক্টর ম্যাট আর্চার বলেছেন, ‘আগামীতে ভার্জিন অরবিটসহ সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি।’
ভার্জিন অরবিট, ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের আংশিক মালিকানাধীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির বাইরে তার প্রথম মিশনে নিম্ন আর্থ অরবিটে নয়টি ছোট উপগ্রহ স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল।
এই মিশনটিকে কর্নওয়াল, ব্রিটেন ও ইউরোপের জন্য একটি ঐতিহাসিক প্রথম ঘটনা বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
রানওয়ের পাশে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় করে সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে। তবে মিশন ব্যর্থ হওয়ার খবরে উপস্থিত সবাই শান্ত হয়ে যে যার মতো ফিরে যান। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স