অনলাইন ডেস্ক : চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে পা রেখেছে ভারত। পৃথিবীর আর কোনো দেশ সেখানে এখন পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। বুধবার (২৩ আগস্ট) ভারতের স্থানীয় সময় ৬টায় দেশটির ‘চন্দ্রযান-৩’ এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করে চাঁদের মাটিতে।
চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মলসহ ৯৬টি ব্যাগ। চাঁদের মাটিতে ভারতের ‘চন্দ্রযান-৩’ এর মাধ্যমে আবারও উঠে এল ৫০ বছর আগের সেই বিতর্ক। চাঁদের মাটিতে আদৌ মানুষের পা পড়েছিল কী না? যদিও অ্যাপোলো-১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফিরে আসার সময়ে প্রমাণস্বরূপ চাঁদে যাওয়ার সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য, সেখানকার মাটি, টিলার অংশও নিয়ে ফিরে এসেছিল পৃথিবীর মাটিতে। ফেরার সময়ে চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকাসহ মহাকাশচারী নিল আমস্ট্রংয়ের ছবিও সঙ্গে তুলে নিয়ে এসেছিল। তা সত্ত্বেও নিন্দুকদের মনে দ্বন্দ্ব ছিলই।
‘চন্দ্রযান-৩’ চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সেই শুভক্ষণ আসার আগেই প্রমাণস্বরূপ ৫০ বছর আগের আরও একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। চাঁদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে মানুষের ব্যবহার করা বর্জ্য, মলসহ ৯৬টি ব্যাগ। চাঁদের পৃষ্ঠে যেহেতু হাওয়া চলাচল করে না, তাই ওই বর্জ্য পদার্থসহ ব্যাগগুলো ৫০ বছর ধরে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চাঁদে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ। তাই তরল থেকে শুরু করে কঠিন পদার্থ সবকিছুই প্রায় ভাসমান। তাই বর্জ্য মলমূত্র ত্যাগ করা নিয়ে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। বেশিরভাগ সময়েই তাই মহাকাশচারীদের ডায়াপার পরে কাটাতে হয়। ব্যবহার করা সেই সব ব্যাগ মহাকাশচারীরা অভ্যাসবশত চাঁদের মাটিতে ছুড়ে ফেলেছিলেন কী না, তা স্পষ্ট নয়। যদিও মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, ফেরার সময়ে মহাকাশচারীরা আনতে পারেননি তাদের ব্যবহার করা ডায়াপার এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ। সেগুলির ছবিই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।