নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, জামায়াত-শিবিরসহ দেশবিরোধী চক্র দেশের ব্যাংক ও আর্থিকখাত নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, জড়িতদের অনেকেই ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে প্রথম দিকের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে কিছুদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা। পাল্লা দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে গুজব।
সোমবার (৯ জনুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানিয়েছেন ডিবি প্রধান।
এরই মধ্যে গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোহাম্মদ নুর উন নবী, আফসার উদ্দিন রোমান, আবু সাঈদ সাজু, স্বাধীন মিয়া ও আব্দুস সালাম।
ডিবি প্রধান জানান, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা দেশবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্রের। এদের অনেকেরই অবস্থান দেশের বাইরে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা না জেনে, ব্যাংকে না গিয়ে এভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের আমরা গ্রেফতার করেছি, তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের সমর্থক। তারা এটি স্বীকার করেছেন। তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা আছেন, কারা বিদেশ থেকে এ ধরনের নীতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, সেটার তথ্য আমরা পেয়েছি। পরবর্তীতে সব কিছু তদন্তে বের হয়ে আসবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের একটি গ্রুপ যারা ব্যাংকে টাকা নেই এই গুজবটি রটাচ্ছে। টাকা নেই এটি সম্পূর্ণ গুজব।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সমর্থক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছেন, তারা সেখান থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কথা বলে চলেছেন। আবার বাংলাদেশেও তাদের কিছু লোক রয়েছে, তাদের নাম আমরা পেয়েছি, রিমান্ডে এনে তথ্য পেলে আপনাদের পরবর্তীতে জানাব। তারা ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব রটাচ্ছে; বলছে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ফেলুন। এটা আসলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা, দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করা এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই তাদের মূল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত করছে এই চক্রটি। তাদের অনেকেরই নাম পেয়েছি। এমনকি এই চক্রে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও কর্মরত কর্মকর্তাও রয়েছেন।
মূলত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনার দায়িত্ব জামায়াতের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হওয়ার পরই গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা শুরু করে চক্রটি।
জড়িতদের অনেকেরই নাম-পরিচয় জানা গেছে। তাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান। দেশের ব্যাংক ও আর্থিকখাত নিয়ে গুজব রটনাকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি ডিবির।
ডিবি প্রধান বলেন, এই চক্রের মূল উদ্দেশ্য দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা।