বিনোদন ডেস্ক : রবিবার (৮ জানুয়ারি) বসেছিল সিনেমার সমাবর্তন ২০২৩ অর্থাৎ ডব্লিউবিএফজেএ অ্যাওয়ার্ডের আসর। এবছরের শেষে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রজাপতি’ নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা বিতর্ক। যদিও শেষমেশ এই বিতর্কের ইতি টানেন দেব নিজেই। বছরের শুরুর দিনে এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তোলে। একদিনেই সারা ভারতে এই ছবি ব্যবসা করেছিল ১ কোটিরও বেশি। এবার এই ছবির জন্য WBFJA অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতা (পপুলার) ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিঠুনের অনুপস্থিতিতে এদিন পুরস্কার গ্রহণ করেন দেব।
সেরা অভিনেতা (পপুলার) ক্যাটেগরিতে এবছর নমিনেশন পেয়েছিলেন কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন ছবির জন্য আবির চট্টোপাধ্যায়, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন ছবির জন্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কিশমিশের জন্য দেব, রাবণ ছবির জন্য জিৎ। কিন্তু সুপারস্টারদের হেলায় হারিয়েছেন মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। যদিও তিনি এদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি। তাঁর হয়ে পুরস্কার হাতে নিয়ে দেব বলেন, ‘অন্য সব ক্যাটগরিতে কে পুরস্কার পাচ্ছেন, তা নিয়ে সংশয় থাকতে পারে, তবে এই ক্যাটগরিতে নেই’।
‘প্রজাপতি’ জায়গা পায়নি নন্দনে। সেই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। ‘প্রজাপতি’ মুক্তির পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীর খারাপ অভিনয়ের জন্য এই ছবি চলছে না। তাঁর এই কথা শুনে দেব বলেন, ‘সিনেমাটা আমার বিষয়, তাই আমার দলের কারোর উচিত নয়, এই বিষয়ে কথা বলার। সিনেমাটা আমার উপর ছেড়ে দিন’। দেব জি ২৪ ঘণ্টায় বলেন যে, ‘তিনি চান না, এই ছবি নিয়ে কোনও বিতর্ক হোক। কারণ বিতর্ক হলে দর্শক ভয় পেয়ে যাবে।’ সেরা অভিনেতা হিসাবে মিঠুনের এই পুরস্কার একঅর্থে সব বিতর্কের ইতি। সূত্র-জিনিউজ।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ক্যাটেগরিতে কে কে পেলেন WBFJA অ্যাওয়ার্ড…
জীবনকৃতি সম্মান: ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়
বেস্ট সাউন্ড ডিজাইনার: প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রোহিত সেনগুপ্ত (দোস্তোজী), অনিন্দিত রায় ও অদীপ সিং মাঙ্কি (বল্লভপুরের রূপকথা): যুগ্ম বিজেতা
বেস্ট ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর: দেবজ্যোতি মিশ্র (অপরাজিত)
বেস্ট এডিটর: সংলাপ ভৌমিক (বল্লভপুরের রূপকথা)
বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফার: ঈষাণ ঘোষ, (ঝিল্লি), তুহিন বিশ্বাস (দোস্তোজী): যুগ্ম বিজেতা
বেস্ট আর্ট ডিরেক্টর: আনন্দ আঢ্য (অপরাজিত)
বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার (মেল): অরিজিৎ সিং (ভালবাসার মরশুম), সপ্তক সানাই দাস (সিন্ড্রেলা মন): যুগ্ম বিজেতা
বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার (ফিমেল): শ্রেয়া ঘোষাল (ভালবাসার মরশুম)
বেস্ট কস্টিউম ডিজাইনার: শুচিস্মিতা দাসগুপ্ত (অপরাজিত)
বেস্ট মেক আপ: সোমনাথ কুণ্ডু (অপরাজিত)
বেস্ট মিউজিক ডিরেক্টর: সপ্তক সানাই দাস (এক্স ইক্যুয়াল টু প্রেম)
বেস্ট লিরিসিস্ট: নীলায়ণ চট্টোপাধ্যায় (কিশমিশ), বারিষ (ভালবাসার মরশুম) (যুগ্ম বিজেতা)
বেস্ট স্ক্রিনপ্লে: শৈবাল মিত্র (এ হোলি কন্সপিরেসি), অনীক দত্ত, উৎসব মুখোপাধ্যায়, শ্রীপর্ণা মিত্র (অপরাজিত) (যুগ্ম বিজেতা)
সেরা অভিনেতা (কমিক) : দেবরাজ মিত্র (বল্লভপুরের রূপকথা), খরাজ মুখোপাধ্যায় (প্রজাপতি)
সেরা অভিনেতা (নেগেটিভ রোল): চন্দন সেন (তীরন্দাজ শবর)
সেরা অভিনেতা (পপুলার): মিঠুন চক্রবর্তী (প্রজাপতি)
সেরা ছবি (পপুলার): কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন এবং প্রজাপতি, (যুগ্ম বিজেতা)
মোস্ট প্রমিসিং ডিরেক্টর: অনির্বাণ ভট্টাচার্য (বল্লভপুরের রূপকথা), প্রসূন চট্টোপাধ্যায় (দোস্তোজী): যুগ্ম বিজেতা
মোস্ট প্রমিসিং অ্যাক্টর (মেল): জীতু কমল (অপরাজিত)
মোস্ট প্রমিসিং অ্যাক্টর (ফিমেল): শ্রুতি দাস (এক্স ইক্যুয়াল টু প্রেম)
বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর (ফিমেল): পাওলি দাম (ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ)
বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর (মেল): শ্যামল চক্রবর্তী (বল্লভপুরের রূপকথা)
সেরা অভিনেতা: ঋত্বিক চক্রবর্তী (অনন্ত), দেব (প্রজাপতি)
সেরা অভিনেত্রী: গার্গী রায়চৌধুরী (মহানন্দা)
সেরা পরিচালক: অনীক দত্ত (অপরাজিত)
সেরা ছবি: অপরাজিত ও দোস্তোজী (যুগ্ন বিজেতা)