নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের ৯ বছর, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুবসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। স্মারকলিপি গ্রহণ করে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা দরকার, সেটা আমরা করব। আমরা সমস্ত ঘটনা জানি। এরই মধ্যে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী আদালত দ্বারা দণ্ডিত। তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা করব।’
মন্ত্রী আরো বলেন, আমার মনে হয় সবগুলো যৌক্তিক দাবি, আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেব।
যুবলীগের দাবিগুলো হলো- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা এবং বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট। ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড যে জিয়াউর রহমান, সেটি জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট। কারণ তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী। তারাই বন্দুকের নল উঁচু করে দল গঠন করেছে। তারা সন্ত্রাস দ্বারা সৃষ্টি। এ সংগঠন বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে নির্যাতন করেছে, একাত্তরের আদলে তারা যেভাবে সন্ত্রাস, নির্যাতন খুন, রাহাজানি করেছে, আমরা নৈতিকভাবে মনে করি বিএনপি-জামায়াতের এদেশের রাজনীতি করার অধিকার নেই।’
পরশ বলেন, ‘আমরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চাই। এটি আজকের যুবসমাজ এবং প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই সকল নাগরিকের প্রত্যাশা। এটা না হলে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না। তাই জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এখন সময়ের দাবি এবং একটি ন্যায্য দাবি বলে আমরা মনে করি।’
আরও পড়ুন: