কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরে ও ভোটগ্রহণ ডিসেম্বরের শেষে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রোববার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা স্পষ্ট করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অথবা নভেম্বরের শুরুতে ঘোষণা করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে সিইসি বলেন, তফসিল নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়নি, সিদ্ধান্ত হয়নি। ৯০ দিনের সঙ্গে মিলিয়ে সেপ্টেম্বরে তফসিলের কথা বলেছিলাম। পরে হিসাব মিলিয়ে দেখেছি অক্টোবরের আগে নয়।
তাহলে ভোটটা ডিসেম্বরে হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, অবশ্যই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের আগে নয়। এটি তো আমাদের রোডম্যাপে বলে দেওয়াই আছে যে, ডিসেম্বরের লাস্ট উইক অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তফসিল আজকে করলাম না কালকে করলাম ওইটা তো গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনটা কবে হচ্ছে।
তাহলে আগাম ভোট হচ্ছে না? যথাসময়ে নির্বাচন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগাম ভোট কীভাবে হবে? যদি তফসিল আজকে দিয়ে দেই তাহলে কি আগাম ভোট হবে? তফসিলের সঙ্গে তো ভোটের সম্পর্ক নেই। তফসিল আমি তিনমাস আগে দিতে পারি, চারমাস আগে দিতে পারি। নির্বাচনের ব্যাপারে আইন আছে কখন করতে হবে। তফসিল কবে দিতে হবে, এই বিষয়ে কিন্তু আইনে বলা নেই।
তিনি বলেন, তফসিল নিয়ে কিন্তু কোনো আইন নেই কতদিন আগে তফসিল দিতে হবে। নরমালি ৫০ দিন, ৬০ দিন আগে তফসিল দেওয়া হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও আয়ারল্যান্ডের চারজন পর্যবেক্ষক।
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, সকাল ১০টায় যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, জাপান ও চীনের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। নির্বাচন কমিশন ভবনের তৃতীয় তলায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, আনিসুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম অংশ নেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নামের একটি পর্যবেক্ষক দলও অংশ নেয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া মার্কিন পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক। নির্বাচন কমিশন চাইলেও তা পরিবর্তন করতে পারবে না। আমরা অসাংবিধানিক কোন বিষয়ে আলোচনা করতে চাই না। আমরা বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। কমিশন সেই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে।
বৈঠকে দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে ইসলে বলেন, তিনি তার ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। এটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো বক্তব্য নয়। তবে তার এই অভিজ্ঞতা মার্কিন সরকারকে জানানো হবে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়- প্রচলিত আইনেই সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন:
আরও ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তরুণ প্রজন্মই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল শক্তি: প্রধানমন্ত্রী