অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : আবারও ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে দেশি-বিদেশি ১৩টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনা-বেচার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ডলার কারসাজিতে জড়িত ব্যাংকগুলোর বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্ত শেষ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, ডলারের দর বেশি রাখা হচেছ এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কড়া নিদের্শ পেয়েই কর্মকর্তারা তদন্তে নামছেন। নতুন করে দেশি-বিদেশি ১৩টি ব্যাংকের নাম বেরিয়ে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। এর মধ্যে আগেরবার ডলারের দর কারসাজিতে অভিযুক্ত ব্যাংকের নামও রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানায়, ডলারের সরবরাহ সংকটে কিছু ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত মুদ্রা জমিয়ে রেখে অতিরিক্ত মুনাফা শুরু করে। সুযোগ থাকলেও তা বাজারে না ছেড়ে কৃত্রিমভাবে দর বাড়ানো হয়। আবার কয়েকটি ব্যাংক ডলার সংরক্ষণের তথ্যও গোপন করে।
এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দর বৃদ্ধির প্রমাণ পাওয়ায় ৬ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৫টি দেশি এবং একটি বিদেশি ব্যাংক ছিলো।
পরবর্তীতে ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করে অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিযোগে সরিয়ে দেয়া ৬ ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধানকে আগের পদে ফেরার সুযোগ দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। সেইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে আবারও এসব ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনেকে ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়েছে।
করোনার ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এ জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপরও সংকট কাটছে না। এই সংকটের সময়ে বারবার ডলার কারসাজিতে জড়িয়ে পড়ছে দেশি-বিদেশি অনেক ব্যাংক।