কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : প্রত্যেক টিআইএনধারীর জন্য ২ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দেওয়ার বিধান বাতিল করে জাতীয় সংসদে কয়েকটি সংশোধনীসহ অর্থ বিল ২০২৩ পাস হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন।
সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনকল্পে এই বিল আনা হয়। বিলে ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু অর্থবছরের জন্য আর্থিক বিধান, বিদ্যমান কতিপয় আইন সংশোধনসহ কর প্রস্তাবসমূহ অনুমোদন করা হয়েছে।
অর্থ বিলে বল পয়েন্ট কলম তৈরিতে প্রস্তাবিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকার, সেলিম আলতাফ জর্জ, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মুজিবুল হক, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ ও গণফোরামের মোকাব্বির খান আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থমন্ত্রী অর্থ বিলের ওপর আনীত সংশোধনী তালিকা নম্বর- ২ এবং ২(ক) এর কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেন। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
নিয়ম অনুযায়ী, টিআইএন থাকলেই রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বর্তমানের থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। এ রেয়াতের পর কারো আয় করযোগ্য হলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম তিন হাজার টাকা আয়কর দিয়ে হবে।
আয়করদাতা ঢাকা ও সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা হলে তাকে দিতে হবে পাঁচ হাজার টাকা।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা টিআইএন থাকলেই দুই হাজার টাকা আয়করের বিরোধিতা করেন। তা ছাড়া বড় অঙ্কের ঘাটতি পূরণে টাকা ছাপানোর তীব্র বিরোধিতা এবং বিদেশি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাজেটে কলমসহ শিক্ষা উপকরণের দাম কমানোরও দাবি জানান বিরোধীরা। এ সময় বাজেটে ঋণখেলাপি কমানো, দুর্নীতি নির্মূল করার কোনো পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেন। মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় বিরোধীরা নিত্যপণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রীকে আহ্বান জানান।