অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : বৈশ্বিক বাজারে অ্যারাবিক কফির দাম কমে ৬ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে।শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ার উদ্বেগে শিথিল হওয়ায় পানীয় পণ্যটির বাজারদরে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়। তবে রোবাস্তা কফির দাম গত সপ্তাহের মতো রেকর্ড সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বরে সরবরাহের জন্য চুক্তি করা প্রতি পাউন্ড কফির দাম ২.৯ শতাংশ কমে ১ ডলার ৬৫ সেন্টে নেমেছে, যা চলতি বছরের জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন।
প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে কফির বৈশ্বিক উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। পরের বছরের সেপ্টেম্বরে এ মৌসুম শেষ হয়। মার্কিন কৃষি বিভাগ জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে কফি উৎপাদন ৪৩ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৭ কোটি ৪৩ লাখ ব্যাগে। এ সময় ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদন কমে গেলেও ব্রাজিল ও ভিয়েতনামে লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে।
রেফিনিটিভ কমোডিটিজ রিসার্চ জানায়, জুলাই মাস শুরুর আগ পর্যন্ত ব্রাজিলে তীব্র গরম অনুভূত হতে পারে। এর অর্থ হলো এ সময় তুষারঝড়ের আশঙ্কা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করলে দেশটির কৃষকদের জন্য কফি সংগ্রহ সহজ হবে।
২০২৩-২৪ মৌসুমের এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের কৃষকরা ৩৯ শতাংশ কফি সংগ্রহ সম্পন্ন করেছেন, যা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম বলে জানিয়েছে বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সাফরাস অ্যানড মার্কাডো ফান্ড।
এদিকে সেপ্টেম্বরে সরবরাহের জন্য চুক্তিকৃত রোবাস্তা কফির দাম ১.৮ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ২ হাজার ৬৯৯ ডলারে। এর পরও গত সপ্তাহের রেকর্ড সর্বোচ্চের কাছাকাছি অবস্থান করছে রোবাস্তার দাম। বাজারসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রাজিলের রোস্টাররা বর্তমানে বেশি দামের কারণে তুলনামূলক কম মানসম্পন্ন অ্যারাবিকা কফি ব্যবহারের কথা ভাবছেন।
এদিকে আইসিইতে জুলাইয়ে সরবরাহের জন্য চুক্তিকৃত প্রতি টন অপরিশোধিত চিনির দাম ১.৭ শতাংশ কমেছে। প্রতি পাউন্ডের মূল্য স্থির হয়েছে ২৪ ডলার ৫০ সেন্টে। আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন সাদা চিনির দাম ১.২ শতাংশ কমে ৬৬৫ ডলার ৭০ সেন্টে নেমেছে।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে সেপ্টেম্বর সরবরাহ চুক্তিতে কোকোর দাম ০. ১ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে ৩ হাজার ২০৭ ডলারে। এর আগে গত সপ্তাহে পণ্যটির বাজারদর বেড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চে উন্নীত হয়েছিল।