অনলাইন ডেস্ক : চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা তাদের অভিমত অনেক আগেই প্রকাশ করেছেন। চাঁদে প্রাণ টিকে থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। ১৯৬৯ সালে মানুষ পাঠানোর পর এবং সেখান থেকে কিছু নমুনা নিয়ে আসার পর চাঁদ ও চাঁদে বসবাস করা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এরপরেও কয়েকবার চাঁদে অভিযান করা হয়েছে, এসব অভিযান থেকে চাঁদ সম্পর্কে অনেক তথ্যও পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়েও গবেষণা হয়েছে।
এসব গবেষণা থেকেই বোঝা গেছে বসবাস করার জন্য চাঁদ একদমই উপযুক্ত নয়। কিন্তু চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ক্রেভাসে বেশ কিছু আণুবিক্ষণিক উপাদান পাওয়া গেছে যেখানে প্রাণের আভাস মিলেছে। এই ধরনের জীবেরা কঠিন আবহাওয়াতেও টিকে থাকতে পারে। মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গ্রহ গবেষক জানিয়েছে তেমনটা হলে চাঁদে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে এ তথ্য বলা যাবে।
আর্টেমিস থ্রি- এর গবেষকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ মেরুতে অণুজীবের বেঁচে থাকার জন্য আবহাওয়া রয়েছে। চাঁদে তাপমাত্রা পরিবর্তন অত্যন্ত বেশি হলেও এই দক্ষিণ মেরুর ক্রেভাসে এই উল্লেখযোগ্য আবহাওয়া রয়েছে। প্রাণ তৈরির জন্য যে পলিমার রসায়ন দরকার যেমন অ্যামাইনো অ্যাসিড। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, হয়তো চাঁদে এসব উপাদান ছিল তবে মিশ্র অবস্থায় ছিল এবং অল্প সময়ের জন্য ছিল। অথবা কোনো গ্রহাণুপুঞ্জের আঘাতে চাঁদে রাসায়নিক উপাদান তৈরি হয়েছিল।
এসব সম্ভাবনার উপর ভর করে কোনওভাবেই এটা দাবি করা যাবে না যে চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। চাঁদে অগ্ন্যুৎপাত হতো, এমন প্রমাণ বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। সেখান থেকে তারা চাঁদে প্রাণ থাকার একটি অনুমাননির্ভর মতামত প্রকাশ করেন। তারা চাঁদে প্রাণ থাকার পর্যায়কে দুই ভাগে ভাগ করেন। একটি পর্যায় ছিল চার বিলিয়ন বছর আগে যখন চাঁদের উৎপত্তি হয় তার কিছু সময় পর পর্যন্ত এবং আরেকটি পর্যায় হচ্ছে ৩.৫ বিলিয়ন আগে। এই দুই সময়ের মধ্যে চাঁদে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত দৃঢ়। সূত্র-জিনিউজ।