December 24, 2024 - 12:06 am
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeনির্বাচিত কলামভারতের দেবী শেঠি ও বাংলাদেশী ডাক্তারের দুটি ঘটনা

ভারতের দেবী শেঠি ও বাংলাদেশী ডাক্তারের দুটি ঘটনা

spot_img
লেখক জে.জাহেদ : উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়ার আশায় দেশের অনেক রোগী ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এ রকম বিদেশগামী রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদেশে মান সম্মত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে রোগীরা বাইরের দেশের হাসপাতালে চলে যাচ্ছে, এমনটি ধারণা অনেকের। আবার এমনও ধারণা আমাদের দেশের ডাক্তারগণ রোগীদের সময় কম দেন, অল্প সময়ে অনেক রোগী দেখেন; অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করতে দিয়ে কমিশন বাণিজ্য করেন।
কিছুটা ভিন্ন চিত্রও আছে, তবে আমার দেখা এরকম দুটি ঘটনা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি। অনেকে হয়তো শুনে আশ্চর্য হবেন যে, বিদেশ থেকেও আমাদের দেশে রোগী আসে। কিংবা আমাদের দেশের ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন দেখে বাইরের দেশের ডাক্তার দাগ না লাগিয়ে, দেশের যে ডাক্তার ওই প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন, তাঁকে অনুসরণ করতে বলেন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ দেবী শেঠি যদি তা করেন তাহলে আরো অবাক করা বিষয়। বাংলাদেশী ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখে রোগীকে তিনিও ব্যাক করে দিয়েছেন বাংলাদেশী ডাক্তারের কাছে। এমন নজিরও হাতে রয়েছে।
১.
ঘটনাটি ২/৩ বছর আগের কথা। আমি জুবলী রোডের পত্রিকা অফিস থেকে বের হচ্ছিলাম। এমন সময়, আমার ফোনে কক্সবাজারের পরিচিত চাচা ডা. আবদুর রহিমের কল আসে। রিসিভ করতেই তিনি বললেন, ভাতিজা তুমি কোথায় আছো ?  আমি উত্তর দেয়ার আগেই বললেন, আমার আব্বাকে নিয়ে নিজাম রোডের একটি হাসপাতালে আছি। খুব সমস্যা আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি একটু আসো।
সংঙ্গত কারণে হসপিটালের নাম উল্লেখ করছি না। আমি ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গেলাম।
রোগীর নাম আলহাজ্ব কবির আহমেদ (৬৫)। বুকে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে ৮/১০ দিন হলো। রোগী তখন এইচডিওতে। সেখানকার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানালেন অপারেশন করা লাগবে। বুকে বাল্ব বসাতে হবে। এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে।
রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে তারা অপারেশনে যেতে রাজি না। আমি তখন চাচাকে বললাম, রোগীটা একটু দেখি। দেখলাম বেডে শুয়ে আছেন সুস্থ। রাতে নাকি অপারেশন দিবেন। আমি চাচাকে বললাম, ডাক্তার কত টাকা জমা দিতে বলছে? উনি জানালেন, ডাক্তার বলেছে, টাকা পরে জমা দিলেও হবে, আগে অপারেশন করে হার্টে বাল্ব বসিয়ে ফেলতে। কেন জানি বিষয়টি অন্য রকম মনে হল। আমি চাচাকে বললাম একটু অপেক্ষা করেন।
আমি আমার পরিচিত এক ডাক্তারকে কল দিয়ে বিষয়টি একটু জেনে নিই বলে সময় নিলাম। কল দিয়ে ফোনে বিষয়টি জানালাম। ডাক্তার সমস্ত কথা শুনে বললেন, যেখানে রোগীর চিকিৎসা চলছে সেখানে সন্তুষ্ট না হলে সময় করে রোগীটি দেখাতে পারেন। আমি বিষয়টি তখন চাচাকে জানালাম। চাচা বললেন, চলো আমরা অপারেশন দিবো না। ভারতে নিয়ে যাবো।
তখন আমার আরেক বন্ধু বলল, তোমরা রোগীটি সিএসসিআর-এ ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম চৌধুরীকে দেখাতে পার কিনা দেখো। পরের দিন গেলাম সিএসসিআরে ডাক্তার ইব্রাহিম সাহেব সব দেখে জানালেন, এই রোগীর অপারেশন বা বাল্ব বসানোর কোন প্রয়োজন এখন দেখছি না। তবে সময় মতো মেডিসিন আর কিছু নিয়ম কানুন মানলে ভাল হয়ে যাবে। রোগীকে তিনি প্রেসক্রিপশনে ঔষধ দিয়ে দিলেন। রোগী পরেরদিন কক্সবাজারে চলে যান। পরে খবর নিলাম গত তিন বছরে কোন সমস্যা হয়নি রোগীর। ডাক্তার ইব্রাহিম যে ঔষধ দিলেন সে সব চলছে।
এরমধ্যে রোগীর পরিবার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে ভিসা করে ভারতে গেলেন ডা. দেবী শেঠির কাছে। তিনি রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বললেন, আপনি বাংলাদেশে যে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সেটা ছেড়ে এখানে আসলেন কেন? আমি দেখছি উনি আপনার রোগের সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন। আপনি উনার কাছে যান এবং উনি যে চিকিৎসা দিয়েছেন তা যথাযথ পালন করেন। রোগীর অভিভাবকেরা অবাক হলেন। ভারতে আসাটাই বৃথা। দেশেই ভাল ডাক্তার রয়েছে। কিন্তু আমরা দুরের জিনিসকে স্বর্ণ মনে করি। আর দৌড়াদৌড়ি করছি….
২.
দ্বিতীয় ঘটনা বলছি। আমার এক বন্ধু নাম উনার শাহাজাহান। ভালো ব্যবসায়ি। তবে তিনি ধুমপান করতেন। প্রতিদিন রাত ১০টার পর আমরা একটা খোলা জায়গায় বসে আড্ডা দিতাম। সেদিনও বসে আড্ডায় গল্প হচ্ছিলো। হঠাৎ শাহাজাহান বলল আমার বুকে ব্যথা করতেছে ভাই। বসে থাকা বাকি বন্ধুরা তাকে বললাম হয়তো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। বাসায় গিয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে। পরে জানলাম সে বাসায় গিয়ে পরিচিত এক ডাক্তারকে ফোন দিয়ে কিটোরোলাক খেলেন। কিন্তু ব্যথা ভাল হয় না। প্রচুর ঘাম ঝরে রাতে। বমি ও হয়…
পরের দিন বিকেল তিনটায় আমাকে কল দিয়ে বন্ধুটি বলল-পুরাতন ব্রিজঘাট যেতে। সময় মতো আমি গেলাম। দুজনে কর্ণফুলী নদী পার হয়ে ফিরিঙ্গিবাজার অভয়মিত্রঘাট মসজিদ পর্যন্ত গিয়ে দেখি সে আর হাঁটতে পারছে না। আমি তাড়াতাড়ি সিএনজি নিলাম। ড্রাইভারকে বললাম ন্যাশনাল হসপিটালে যাও। সিএনজি চলছে আর আমার ঐ বন্ধুটি দেখি আমার গায়ের উপর পুরো শরীর ছেড়ে দিচ্ছে ধীর ধীরে। আমি দেখলাম সে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে। ভয়ও পাচ্ছিলাম তবে আমি সাহস হারায়নি। গাড়িওয়ালাকে বল্লাম রং সাইটে ন্যাশনাল হসপিটালে যেতে।
কম সময়ে পৌছে গেলাম মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হসপিটালে। জরুরী বিভাগে দেখানোর পর ইসিজি দেখে ডাক্তার হতবাক। বললেন-আরেকটু পর আসলে উনাকে বাঁচানো হয়তো সম্ভব হতো না। কুইকলি এইচডিইউতে নিয়ে গেলেন রোগীকে। ডাক্তার চিকিৎসা দিলেন; পুরো ১০ ঘন্টা ঘুম। পরে স্বাভাবিক হলেও মুখের স্বর খুব ছোট। বুকে চাপ রয়েছে। তা দেখে আমি হসপিটালের ডাক্তার কে বল্লাম, আপনারা আমার রোগীর জন্য ডা. ইব্রাহিম চৌধুরী স্যারকে প্রাইভেট কল দিন, উনি এসে আমার রোগীটা দেখুক আমি বিল দেবো।
যথাসময়ে স্যার এসে রোগী দেখে বললেন, আজ রোগী এখানে থাকুক। আমি একটি মেডিসিন দিলাম ও একটি মেডিসিন বাদ দিলাম। এসব আজ চলুক। আগামীকাল যেনো ম্যাক্স হসপিটালে রোগীর এনজিওগ্রাম ও ইকো-কার্ডিলজি করি। আমি দেখলাম রোগী ঘুম। এরমধ্যে খবর পেয়ে রোগীর পরিবারের সদস্যরা সবাই হাজির। সবার মাঝে একটা ভয় কাজ করছে। আমার কাছে জানলো কিভাবে এ রকম হলো। আমি সব জানালাম। পরের দিন ম্যাক্স হসপিটালে রোগী কে নিয়ে গেলাম, ইকো-টেস্ট করালাম।
ডা. ইব্রাহিম চৌধুরী রিপোর্ট দেখে বললেন, রোগীর একটু সমস্যা আছে হার্টে। এর জন্য সম্বল থাকলে একটা রিং বসাতেও পারেন। না বসালেও চলবে। তবে দুবছর ঔষধ খেতে হবে। আশাকরি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে। ধুমপান করার ফলে এ সমস্যা হয়েছে বলে তিনি জানান।
কিছুদিন পর উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার সেই বন্ধু শাহাজাহান ও মাসুদ রানা গেলেন ভারতের দেবী শেঠির কাছে। অল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভারত সরকার ২০১২ সালে যাকে ‘পদ্মভূষণ’ পদকে ভূষিত করেন। ভারতের সেই প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পুরো নাম দেবী প্রসাদ শেঠি। যাকে মাদার তেরেসা ভগবানের আশির্বাদ বলেছিলেন।
গত বছরের ১৫ জুন চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল উদ্বোধনকালে বাংলাদেশে আসেন দেবী শেঠি। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ইউরোপে মানুষের বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে অর্থাৎ অবসরকালীন সময়ে হৃদরোগ হয়। এ সময় তারা কাজ করেন না আর ভোজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশে মানুষদের তরুণ বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এর প্রধান কারণ জিনগত। এখানকার মানুষের জীবনধারা, খাদ্যাভাস, ধূমপান, ডায়াবেটিস হৃদরোগের জন্য দায়ী।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষ রোগ হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে যায়। এর আগে যায় না। শরীরের চেকআপ করায় না।তাদের মতে, সুস্থ থাকার সময় কেন ডাক্তারের কাছে যাবেন! কিন্তু এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয় জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সুস্থ থাকার সময়ও চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সবকিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কতটা সুস্থ রয়েছেন তিনি।’
চিকিৎসা ব্যবস্থা এক হলেও বাংলাদেশ থেকে কিছু হৃদরোগী ভারতে কেন যান সে প্রসঙ্গে দেবী শেঠি মনে করেন, ‘হৃদরোগের চিকিৎসায় ভারতে অনেকগুলো একই মানের হাসপাতাল রয়েছে। তাই মানুষ বিকল্প বেছে নিতে পারছে। বাংলাদেশে হয়তো এখনও সেভাবে বেশি বিকল্প তৈরি হয়নি।
এবার আসল কথায় আসা যাক। ভারতে পৌঁছে আমার ঐ বন্ধুটি নারায়ণ হেলথ হসপিটালের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা এই দেবী শেঠিকে দেখানোর সিরিয়াল নিলেন। তার দু এক দিনের মধ্যে দেখা পেলেন সেই বিখ্যাত হার্ট সার্জনের। বন্ধুটি জানালো, দেবী শেঠি টেনে টেনে খুব সুন্দর ও ধীর স্বরে বাংলায় তার রোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে থাকেন। বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট দেখেন। বাংলাদেশে দেখানো ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহীম চৌধুরীর প্রেসক্রিপশন ও কি কি মেডিসিন দিলেন তার খুটিনাটি দেখার পর,  আমার বন্ধুকে ডা. দেবী শেঠি বললেন, আপনার হার্টে তেমন কোন সমস্যা নেই, ধুমপানের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে এই জায়গায় বলে; দেবী শেঠির সামনে থাকা প্লাস্টিকের হার্টের পার্ট পার্ট অংশ খুলে রোগীকে বুঝিয়ে দিলেন কোন জায়গায় সমস্যাটা। এরপর বললেন, আপনাকে বাংলাদেশের যে ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছেন উনি শতভাগ সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন। আমি কোন ঔষধ দিচ্ছি না। উনি বেটার চিকিৎসা দিয়েছেন। আপনি উনার কাছে যান।
রোগী অবাক। এতদুর থেকে গেলেন দেবী শেঠির মতো একজন ডাক্তার কোন ঔষধ দিলেন না। বরং বাংলাদেশের ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। কেমন যেনো একটা ধাক্কা খেলো রোগী।
রোগীর এটেন্টডেন্স হিসেবে থাকা বাংলাদেশী যুবক মাসুদ রানা কে রোগী বলেন, আসলে আমরা বিদেশে কেন আসলাম? দেশের ডাক্তারের প্রতি আমাদের কেন আস্থা কমে যাচ্ছে? বাংলাদেশের যে সব ডাক্তারের প্রতি আমরা আস্থা রাখতে পারছি না? সেই ডাক্তারদের চিকিৎসা দেখে স্বয়ং এশিয়া মহাদেশের বিখ্যাত হার্ট সার্জন দেবী শেঠি আস্থা প্রকাশ করলেন।
এর দুদিন পর সবকিছু গুছিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে বন্ধু শাহাজাহান। দেশে এসে দেখালেন চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল স্পেশালাইজড কেয়ার এন্ড রিসার্সের হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহীম চৌধুরীকে। তিনি যা ঔষধ দিয়েছেন তাই চলছে। ২০১৫ সাল থেকে এখনো চিকিৎসা চলছে। বন্ধু শাহাজাহান এখন পুরোপুরি সুস্থ্য রয়েছেন।
এতে স্পষ্ট বুঝা যায় বিদেশ নয়, আমাদের দেশেও ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু সমস্যাটা মনে হয়; বেশির ভাগ ডাক্তার রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করছেন না। রোগীকে ভালো সময় দিচ্ছেন না। এমনকি কেউ কেউ রোগীর সমস্যার কারণ শুনতে বিরক্ত প্রকাশ করেন। যার কারণে দেশের ডাক্তারদের উপর মানুষের আস্থা কমছে। যদিও সব ডাক্তার এক রকম নয়। আমি কথাটি ঢালাওভাবে বলছি না।
আমাদের দেশেও ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহীম চৌধুরী’র মতো ভালো মানের ডাক্তার রয়েছেন। যারা মানবিক ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। যারা পথেঘাটে রাস্তায় যেখানে রোগী সেবা চায়, সেখানেই দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সব সময়। তবে দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এসব রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়ার উপযোগি হাসপাতালের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগ জানায়, গত ১৫ বছরে ১০ হাজারের বেশি হৃদরোগীর এনজিওগ্রাম করেছেন তারা। আমার আরেক বন্ধু আবদুর নুর কি বলে জানেন, ভারত ও বাংলাদেশী ডাক্তারদের মধ্যে পার্থক্য হলো একটাই; আর সেটা হলো রোগীকে সেবা দেওয়ার ভাষাটা ভারতে রয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে নেই।’
লেখক.. ক্ষুদে গণমাধ্যমকর্মী চট্টগ্রাম।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ

এসকে ট্রিমসের ক্যাটাগরি পরিবর্তন

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র...

একমি ল্যাবরেটরিজের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

পুঁজিবাজার ডেস্ক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিঃ এর ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায়...

খাইতে খাইতে শেখ মুজিবরেও খেয়ে ফেলেছে: বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, স্বাধীনতার পরে পল্টন ময়দানে মওলানা ভাষানী শেখ মুজিবুর রহমানকে...

দেশব্যাপী গ্রাহক সেবা সপ্তাহ-২০২৪ শুরু করলো ওয়ালটন কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট

কর্পোরেট ডেস্ক: ‘সেবার প্রত্যয়ে আমরাই এগিয়ে’ এই স্লোগানে দেশব্যাপী ‘গ্রাহক সেবা সপ্তাহ- ২০২৪’ কর্মসূচী শুরু করেছে দেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (সিএসএম)।...

‘ঐতিহ্য’-এর নতুন উদ্যোগ: ‘বিনামূল্যে বই নিন, বই পড়ে ফেরত দিন’

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: প্রকাশনা সংস্থা 'ঐতিহ্য' দীর্ঘদিন ধরে পাঠকদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়তে এবং সাহিত্যের চর্চাকে উৎসাহিত করতে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।...

চুয়াডাঙ্গায় আনসার-ভিডিপি সদস্যের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় আনসার ও ভিডিপির সদস্যদের মধ্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার আলুকদিয়া...

সাবেক এমপি হেনরী ও তার স্বামীর ব্যাংক হিসাবে ২৩০০ কোটি টাকার লেনদেন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রায় ৭৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদারের নামে...

শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে ঢাকার চিঠি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারের কাছে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে...