October 6, 2024 - 5:21 pm
তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৭৭
Homeকর্পোরেট-অর্থ ও বাণিজ্যঅর্থ-বাণিজ্যরমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

spot_img

নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, ছোলার মতো পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় স্বাভাবিক আছে। আসন্ন রমজানে সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, ডলারের কারণে আগামীতে দামের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে, ভোক্তারা একসঙ্গে পুরো রহমজান মাসের পণ্য কিনলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়ে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তখন এ সুবিধা নিয়ে থাকে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। আসন্ন রমজান মাসে দাম বাড়ার কোনো আশংকা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এক মাসেরটা নিয়মিত কিনলে পরে এই চাপটা হয় না। এটি কিন্তু একটি বড় ধরনের ঝামেলা। আমরা সব সময় লক্ষ্য করছি রমজানের প্রথম সাত দিনেই বেশি রকম সংকট দেখা দেয়। তারপর দেখা যায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এটি একটু আপনারা দয়া করে বলুন যে ওনারা (ভোক্তারা) যেন তড়িঘড়ি না করেন। রমজান মাসের আগেই সব কিনে নিতে হবে? রমজান মাসে আমার ৩০ কেজি পেঁয়াজ লাগবে, একবারেই যদি কিনে ফেলি! সেখানে তো সমস্যা হবেই।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব মানুষ যদি একদিনেই মনে করে সব কিনে ফেলবে, তাহলে কীভাবে হবে? সাপ্লাইটা তো ঠিক রাখতে হবে। এটা একটা পজিটিভ মেন্টালিটি যে, হুট করে কেনার দরকার নেই। এটা সারা মাস ধরেই পাওয়া যাবে। আপনারা এক মাসের জিনিসটা একসঙ্গে কিনেন না, এটা একটা বড় সমস্যা। আর আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি, যাতে করে রোজার মাসে আমাদের সেই সমস্যা না হয়।’

টাস্কফোর্সের সভার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সাতটা ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে। চিনির মজুত পরিস্থিতি ভালো। তবু দাম একটু বেশি। রমজানে দাম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। অনেক সময় ছোটো সংকটকে আমরা বড় করে দেখি। আমাদের ভোক্তা অধিকার সক্রিয় রয়েছে।’

সয়াবিন তেল ও পাম তেল নিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তাই এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়বে না। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেলে হয় তো দামের ওপর প্রভাব পড়েবে। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি পণ্য ‍দুইটির দাম ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে।

এলসি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করি এ সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ