অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আগামী ২২ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দু’দিনব্যাপী ‘ষষ্ঠ বাংলাদেশী অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোও (ইপিবি) মেলাটিকে ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত করেছে। মেলায় অংশ নিতে ৩১ মে এর মধ্যে ইপিবির মেলা বিভাগে আবেদন করতে হবে।
মঙ্গলবার ২৩ মে বাসস জানায়, ইপিবিতে আবেদন করার পর ভিসা না পেলে আবেদন মাশুল ফেরত দেবে ইপিবি। তবে ভিসা পেয়ে কেউ যোগ না দিলে আবেদন মাশুল ফেরত দেবে না সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিজনেস লিংক, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এবং মুক্তধারা নিউইয়র্ক এ মেলার আয়োজন করবে। এতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। আয়োজনটি হবে নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইস হোটেলে। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য, ‘সুযোগের উন্মোচনে স্মার্ট অর্থনীতি’।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে এ মেলায় অংশ নিতে যাচ্ছে ইপিবি। ইপিবি ইতোমধ্যেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুঁজিবাজার, তৈরি পোশাক, ওষুধ, কৃষিজাতপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তিপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটের বৈচিত্র্যময় পণ্য, আবাসনসহ বিভিন্ন খাতকে এ মেলায় অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশী পণ্যের স্টল ছাড়াও এতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার হবে এবং তুলে ধরা হবে যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার ব্যবসায়ীদের কাছে উদীয়মান বাংলাদেশকে। দেশের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক শোকেসের একটি নিখুঁত সংমিশ্রণ হিসেবে মেলাটি সাজানো হবে। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজতর করা।
মুক্তধারা নিউইয়র্কের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা জানান, গত বছর সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত মেলায় ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। এফবিসিসিআই ও গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছিল তখন। এবারের মেলা থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো কিছু বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে।